মঙ্গলবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কুলে এ হামলা চালানো হয়। খবর গালফ নিউজের।
ইদলিব প্রদেশের দক্ষিণে সরাকিব শহরের কাছাকাছি জুবাস গ্রামকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। হামলায় সেখানে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ইদলিবে বিমান হামলা শুরু করেছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র রাশিয়া। গত বৃহস্পতিবার থেকে ইদলিবের অনেক শহর তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এপ্রিলে মস্কো সমর্থিত আসাদ বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার বেসামরিক নিহত হয়, বাস্তুচ্যুত হয় ৪ লাখেরও বেশি।
আগস্টে আসাদ বাহিনী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং প্রতিদিনই বেসামরিক লোক প্রাণ হারাচ্ছে।
]]>দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার মালির সীমান্ত এলাকায় আরবিন্দা শহরে একটি সামরিকঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দিলে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
২০১৫ সালের শুরু থেকে মালি ও নাইজারের সীমান্তবর্তী পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে।
ওই সময় থেকে দেশটির সাহেল অঞ্চলে জঙ্গি সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, যার ফলে শত শত লোক জঙ্গিদের হাতে নিহত হন।
সেনাপ্রধানের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের একটি বিশাল দল একযোগে উত্তরাঞ্চলীয় শহর আরবিন্দার একটি সামরিকঘাঁটি এবং বেসামরিক জনপদে হামলা চালায়।
দেশটির রাষ্ট্রপতি রোচ মার্ক ক্রিশ্চান কাবোর বলেছেন, বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গিদের প্রায় পাঁচ বছরের সহিংসতায় সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা এটি। এ ঘটনায় সমবেদনা জানাতে রাষ্ট্রপতি ২ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গিদের সহিংসতার জন্য দায়ী করা হয়েছে আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট উভয় গ্রুপের সঙ্গে জড়িত জঙ্গিদের।
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি হামলায় ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জঙ্গি হামলাগুলোর বেশিরভাগই দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ঘটছে, যদিও রাজধানী ওগাডুগুতেও তিনবার আঘাত করা হয়েছে।
]]>এদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যখন উত্তাল গোটা দেশ। দল-মত নির্বিশেষে মিছিলে হেঁটেছেন অসংখ্য মানুষ। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে দিল্লীর রামলীলা ময়দানে জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, সংশোধনী নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন বিরোধীরা। আর বিরোধীদের মধ্যে আলাদা করে তিনি নিশানা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
রামলীলা ময়দানে বিরোধীদের মিথ্যে প্রচারকে জোরদার নিশানা করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, শহরের কিছু পড়াশোনা করা মানুষ ও নকশালরা রটাচ্ছে, দেশের মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। যে কোনও একজনকে প্রশ্ন করুন কোথায় রয়েছে ডিটেনশন সেন্টার, বলবে, সবাই বলছে তাই শুনছেন। এসব কংগ্রেস ও আরবান নকশালদের প্রচার। এসব প্রচারে বিশ্বাস করেই রাস্তায় নেমে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে কিছু লোক।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ-হিংসায় উত্তপ্ত দরিয়াগঞ্জের থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রামলীলা ময়দান। রবিরার দুপুরে সেখান থেকেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে, বিজেপির জনসভার সেই মঞ্চ কার্যত হয়ে উঠেছে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণ।
দেশবাসীকে ওই দুই আইন নিয়ে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তুদের যন্ত্রণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপরে কী ধরনের অত্যাচার হয় তা গোটা বিশ্ব জানে। সেখানে এখনও কোনও সংখ্যালঘু চায়ের দোকানে চা পান করলে চায়ের ভাঁড়ের দাম দিতে হয়। সেই ভাঁড়ও ঘরে নিয়ে যেতে হয়। এরা যখন এদেশে এসে তাঁদের কথা বলেন তখন তাঁদের কথা শুনতে হবে।
শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারী সম্পর্কে জনসভার শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, যে মানুষটি পাকিস্তান থেকে আসছেন তিনি ভারতে এসে কোনও সরকারি দফতরে গিয়ে বলেন, পাকিস্তান থেকে এসেছেন, সাহায্য করুন। কিন্তু এই কাজ কোনও অনুপ্রবেশকারী বলেন না। তিনি দেশের নিঃশব্দে জনগনের সঙ্গে মিশে যান। এখনও অন্য দেশ থেকে আসা ওইসব নিপীড়িত মানুষদের আশ্রয়ে দেওয়া উচিত কি উচিত নয়, আপনারাই বলুন। এদের আশ্রয় দেওয়া কথা বলেছিলেন খোদ মহাত্মা গান্ধী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও এদের জন্য সুপারিশ করেন। তাহলে এই সরকার নাগরিকত্ব আইন এনে কী দোষ করেছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে রামলীলা ময়দানের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, সংসদে দাঁড়িয়ে একসময় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর আর শরণার্থীদের জায়গা দিতে বলতেন, মমতা দিদি। আর আজ তিনি কলকাতা থেকে পৌঁছে গেছেন রাষ্ট্রসংঘে।দিদি, এখন কী হয়েছে আপনার, কেন বদলে গিয়েছেন প্রশ্ন তুলে বলেছেন, নির্বাচন আসে-যায়, বাংলার মানুষকে ভরসা করুন।বাংলার বাসিন্দাদের আপনি শত্রু ভেবে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়,নরেন্দ্র মোদির অভিযোগ,বাংলায় সেনা নিয়মমাফিক কাজ করতে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করে বলেন, মোদির সেনা এসেছে।
প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদ করে আসছেন মমতা। পথে নেমেছেন বারবার। চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কোনওভাবেই নাগরিকত্ব সংশোধনী এবং এনআরসি কার্যকর হবে না। সেই বিষয়টি তুলে ধরেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বলেছেন,রাজ্য করবেন না বলার আগে একবার অন্তত আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলুন। জানুন, এটা কি আদৌ করা যায়? কেন করছেন এমন? শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক ভিডিয়ো তৈরি করে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জোরের সঙ্গে বলেছেন, তিনি গরিবের জন্য কাজ করা মানুষ, যা করেছেন সেখানে কোনও বৈষম্য দেখেন না। কার কী ধর্ম, কী জাত, কবে কোথা থেকে এসেছেন এসব কিছুই জানতে চাননি।
]]>বুধবার সকালে এক সংক্ষিপ্ত শুনানিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন স্থগিত রাখতে অস্বীকার করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল।
তারা বলছেন, এ আইন স্থগিত রাখা যাবে কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখতে হবে আমাদের।
প্রধানবিচারপতি এস বোবডের নেতৃত্বাধীন প্যানেলে আরও রয়েছেন বিচারপতি বিআর গাভেই ও সুরইয়া কান্ত। শুনানির জন্য আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছে আদালত।
শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কপিল শিবাল। তিনি বলেন, যেহেতু বিধিমালা এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন আকারে দেয়া হয়নি, কাজেই এই আইনের বাস্তবায়ন করা উচিত হবে না।
তার বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপাল। তিনি আইনটি স্থগিতের বিরুদ্ধে কথা বলেন।
এদিকে ভারতজুড়ে আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আইনের প্রতিবাদে দিল্লিতে শিক্ষার্থীদের তুমুল বিক্ষোভের পর পুলিশ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালায়।
]]>কলকাতায় সোমবার তিনি সিএএ এবং এনআরসিবিরোধী বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেন। যতক্ষণ না এগুলো বাতিল হচ্ছে, ততক্ষণ রাস্তায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দেন মমতা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, এ আন্দোলনে আপনাদের পাশে কেউ না থাকলেও মনে রাখবেন আমি থাকব, আমরা থাকব। এদিন দুপুরে রেড রোডে বিআর অম্বেডকরের মূর্তি থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত বিশাল মিছিল করেন মমতা।
তার পরে সেখানে বিশাল এক জনসভায় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কী করবে, আমার সরকার ফেলে দেবে? আমাকেও ফেলে দাও।
এখানে এনআরসি বা সিএবি চালু করতে হলে আমার মৃতদেহের ওপর দিয়ে করতে হবে। আস্তে আস্তে অন্য মুখ্যমন্ত্রীরাও তার মতো এ আইনের বিরুদ্ধে সরব হবে বলে দাবি করেন তিনি।
মিছিলের সামনে মমতা ছিলেন, তার চারপাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। সেখানে দেখা যায়নি কোনো নেতামন্ত্রীকে।
তার পাশে ছিলেন বাংলার কয়েকজন ক্রীড়াবিদ। মিছিলে জনসমাগম সম্পর্কে মমতা বলেন, লাখ লাখ মানুষের মিছিল হয়েছে। শেষ মাথা এখনও দেখা যাচ্ছে না। সিএএ-বিরোধিতায় গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যজুড়ে যে অগ্নিগর্ভ অবস্থা বিরাজ করছে, তার নেপথ্যে বিজেপি রয়েছে বলে এদিন সরাসরি অভিযোগ করেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টই বলেন, কেউ কেউ নিজের আখের গোছাতে টাকার বিনিময়ে বিজেপির কাছে মাথা নত করে আগুন জ্বালাচ্ছে। কারা করছে তার প্রমাণ আমার কাছে আছে।
মমতা বলেন, বিজেপি এবং তার দালালরা হিন্দু-মুসলিমের গোলমাল বাধাতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ বিশৃঙ্খলা করছে। বিজেপি যত না খারাপ, বিজেপির দালালরা তার থেকেও খারাপ। এই দালালদের আমি ক্ষমা করবো না।
নিজে পথে নেমে কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলন করলেও কোনোভাবে হিংসাত্মক ঘটনা তিনি বরদাশত করবেন না বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, আপনারা কেউ উগ্র আন্দোলনে যাবেন না। কেউ ট্রেনে আগুন জ্বালাবেন না। পোস্ট অফিসে আগুন দেবেন না। এতে মানুষের অসুবিধা হয়।
শীতের মধ্যে একের পর এক ট্রেন বন্ধ থাকায় মানুষের যে ভোগান্তি হচ্ছে, তারও সমালোচনা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, দুটো ট্রেনে আগুন লেগেছে বলে সব ট্রেন বন্ধ করে দেবে?
তিনি বলেন, কেন্দ্র আমার কাছে জানতে চাইছে- সিআইএসএফ, সিআরপিএফ ও বিএসএফ চাই কিনা?
আমি বলেছি, আমার পুলিশই যথেষ্ট। কাউকে চাই না। মানুষই পুলিশের সঙ্গে সামলাতে পারবে। গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন হবে। মোদিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, দিল্লি আগে সামলান, পরে দেখেন বাংলা। বাংলা আমরা সামলে নেব।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। কারও দয়ায় এখানে আমরা থাকি না। স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা। না খেয়ে থাকব, কিন্তু কোনোভাবেই আত্মসমর্পণ করব না।
]]>বিশেষ আদালতের এই মামলার শুনানি করেছেন তিন সদস্যের বিচারকের একটি প্যানেল। বিচারকদের এই প্যানেলে ছিলেন পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার শেঠ, সিন্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি নজর আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহীদ করিম।
দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের পক্ষে আইনজীবী আলী জিয়া বাজওয়া সাবেক এই সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন।
বাজওয়া বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ, আব্দুল হামিদ দোগার ও জাহিদ হামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চায় সরকার। এক সঙ্গে সব অভিযুক্তের বিচার করা উচিত। সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মুশাররফের এই সহযোগীদেরও বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন পারভেজ মুশাররফ। রাষ্ট্রদ্রোহ, জরুরি অবস্থা জারি, বেআইনি উপায়ে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টো হত্যা এবং লাল মসজিদ তল্লাশি অভিযান সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় বর্তমানে পলাতক রয়েছেন সাবেক এই পাক সেনাপ্রধান।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির আদালতে মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আদালতে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের হয়। ঝুলে ছিল। সংবিধান লঙ্ঘন করে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে ওই বছর মুশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।
২০১৪ সালের ৩১ মার্চ এই মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। একই বছরের সেপ্টেম্বরে আদালত সাবেক এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ বিশেষ আদালতের কাছে হস্তান্তর করেন। বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ার সুযোগে ২০১৬ সালের মার্চে দেশ ত্যাগ করেন সাবেক এই পাক প্রেসিডেন্ট। আদালতের অনুমতি নিয়েই তিনি দেশ ছাড়েন সেই সময়। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন তিনি।
সংবিধান লঙ্ঘন করে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে পারভেজ মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার এই মামলা দায়ের করেছিল পাকিস্তানের তৎকালীন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সরকার।
]]>ছত্তিশগড়ের ডিজিপি ডি.এ. অবস্তি জানান, নারায়নপুরের একটি সেনা শিবিরে এদিন সকালে কয়েকজন সেনার মধ্যে বিবাদ হয়। এরপরই এক সেনা সদস্য তার সার্ভিস রাইফেল থেকে পাঁচ সহকর্মীকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এরপর ওই সেনা সদস্য নিজেও আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় দু’জন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন, তাদেরকে এয়ার লিফটারে করে রায়পুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে যান রাজ্য পুলিশের আইজি (বাস্তার রেঞ্জ) সুন্দররাজ. পি এবং পুলিশ সুপার মোহিত গর্গ।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কাদেনার অঞ্চলে অবস্থিত আইটিবিপি বাহিনীর বি/৪৫ ব্যাটেলিয়নের ক্যাম্পে এই হত্যাযজ্ঞ চলে। আইটিবিপি সূত্রে জানা গেছে, আত্মঘাতী ওই সেনা সদস্যের নাম মাসুদুল রহমান। তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায়। নিজেকে গুলি করে হত্যা করার আগে বাহিনীর হেড কনস্টেবল মাহেন্দ সিং (হিমাচলপ্রদেশ), হেড কনস্টেবল দলজিৎ সিং (পাঞ্জাব), কনস্টেবল সুরজিত সরকার (পশ্চিমবঙ্গ), বিশ্বরূপ মাহাত (পশ্চিমবঙ্গ) এবং ব্রিজেশ (কেরালা)-নামে পাঁচ সহকর্মীকে হত্যা করে। আহত দু’জন হলেন কনস্টেবল এস.বি উল্লাস (কেরালা) এবং কনস্টেবল সীতারাম দুন (রাজস্থান)।
]]>আফ্রিকান দেশটির বার্তা সংস্থা সাবাকাত আর-রয়েদ এ’লামিয়ার তথ্যানুসারে, মারজুক হাসপাতালে ৯টি শিশু ও দুই নারীর মরদেহ গ্রহণ করা হয়েছে। নিহত নারীদের একজন ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। আরব আমিরাতের মালিকানাধীন ড্রোনের বোমা হামলায় তারা নিহত হয়েছেন।
উম্মে আল-আরনাব এলাকায় আরব আমিরাতের ড্রোন থেকে বোমা হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালে ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহে প্রেসিডেন্ট মোয়াম্মর আল-গাদ্দাফিকে হত্যা করা হলে লিবিয়ায় অস্থিরতা শুরু হয়। গাদ্দাফি চার দশকের বেশি ক্ষমতায় ছিলেন।
এরপর থেকে লিবিয়ায় রাজনৈতিক বিভাজনে দুটি পক্ষ ক্ষমতা দখলের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তার একটি হচ্ছে তবরুকে, অন্যটি ত্রিপলিতে। দুপক্ষেরই ভারী অস্ত্র সজ্জিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী রয়েছে।
ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে ভয়নাকভাবে এগিয়ে রয়েছে বেনগাজিভিত্তিক পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রশাসনের মিত্র হাফতারের সেনাবাহিনী। গাদ্দাফিকে নির্মমভাবে হত্যার পরেই তার এই অগ্রগতি শুরু হয়েছে।
তবে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থিত না। কিন্তু উপসাগরীয় দেশগুলোসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে তারা প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
]]>জানা যায়, দুই ছাত্রকে স্কুলের বেঞ্চের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এক ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে এক মেয়েকে প্রেমপত্র লিখেছে। আরেকজনকে শাস্তি দেয়া হয় চুরির অভিযোগে।
অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার কাদিরি শহরের একটি স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার যুক্তি, এত কম বয়সে প্রেমপত্র লেখা অপরাধ। আবার অন্য ছাত্রদের জিনিস চুরি করাও সমান অপরাধ।
তবে তিনি ছাত্রদের হাত-পা বাঁধার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওই শিক্ষিকা বলেন, আমি ছাত্রদের বেঁধে রাখিনি। দুই ছাত্রের মায়েরা এই শাস্তি দিয়েছে তাদের ছেলেদের। বেঞ্চের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে রেখে শাস্তি দিয়েছে অভিভাবকরাই।
কিন্তু ক্লাসরুমে ঢুকে অভিভাবকেরা কীভাবে এই কাজ করল তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষিকা।
এই ঘটনায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবিও তোলেন। এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
]]>