কোহলিকে নিয়ে এই রূপক কল্পনাকে মেলবোর্নের বাইশ গজে বাস্তবে অনূদিত করেছেন ভারতের বোলাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই টেস্টে স্মিথ ও ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসেই বিশাল সংগ্রহ পাওয়ায় জয়ের মুখ দেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু পেইনের এই অস্ট্রেলিয়ায় যে একজন স্মিথ কিংবা ওয়ার্নার নেই। যাঁরা আছেন তাঁরা ফলোঅনও কাটাতে পারলেন না। আজ তৃতীয় দিনে চা-বিরতির পর শেষ সেশনের খেলা শুরুর চতুর্থ ওভারের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ১৫১ রানে অলআউট। কেউ ফিফটি পর্যন্ত পাননি! সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে পেইন ও মার্কাস হ্যারিসের ব্যাট থেকে। ২৯২ রানে এগিয়ে থেকেও অবশ্য অস্ট্রেলিয়াকে ফলোঅনে পাঠাননি ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
কাল বিনা উইকেটে ৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ তাঁদের ব্যাটিং অর্ডারকে তাসের ঘর বানিয়ে ছেড়েছেন জাসপ্রীত বুমরা। ৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। এক পঞ্জিকাবর্ষে এশিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংসে ন্যূনতম ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন বুমরা।
আজ অবশ্য ভারতকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার ২৪ রানে ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চকে ফেরান তিনি। মধ্যাহ্নভোজ বিরতির আগে ৮৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে শন মার্শ ও মার্কাস হ্যারিসকে তুলে নেন বুমরা। গতি আর স্লোয়ারের মিশেলে আজ তিনি অসাধারণ বল করেছেন। দ্বিতীয় সেশনে ৫৬ রান তুলতে আরও ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া (৭ উইকেটে ১৪৫)। শেষ সেশনে বুমরা নিজের দুই ওভারে নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রথম ওভারে পেইনকে (২২) তুলে নেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে লায়ন ও হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুঁড়িয়ে দেন বুমরা।
অস্ট্রেলিয়াকে তাঁদের মাঠে সর্বশেষ ফলোঅনে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড। ১৯৮৮ সালে সিডনি টেস্টে। এরপর অস্ট্রেলিয়া তাদেরই ঘরের মাঠে দুবার ফলোঅনে পড়েছে, এই দুবারই প্রতিপক্ষ ভারত। ২০০৪ সালে সিডনি টেস্টের পর এবার মেলবোর্ন টেস্ট। কিন্তু এই দুবারই প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে না পাঠিয়ে ভারত ব্যাটিংয়ে নেমেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ৮ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে এরই মধ্যে ৩০০ রানের লিড নিয়েছে কোহলির দল।
]]>উল্লেখিত হাদিসেরর আলোকে বুঝা যায় যে, কোনো ব্যক্তি যদি ফজরের নামাজ পড়ার পর পরদিন ফজরের নামাজ আদায় করে তবে এ সময়ে মধ্যে করা সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। অনুরূপভাবে এক জুমআ থেকে অপর জুমআ এবং এক রমজানের রোজা আদায়ের পর থেকে পরবর্তী রমজানের রোজা আদায় করে তবে ওই ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত পূর্ণ এক বছরের সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
জুমআর দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। এগুলো মধ্যে তিনটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর তাহলো-
>> জুমআর দিনে ‘সুরা কাহফ’ তেলাওয়াত করা। পবিত্র কুরআনুল কারিমের ১৫তম পারার ১৮নং সুরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সুরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে তবে সে যেন এ সুরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে।
ফজিলত
– যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর (পরবর্তী) জুমা পর্যন্ত নূর হবে।
– যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, সে আটদিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।
– এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।
>> জুমআর দিনে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ। যদি কোনো ব্যক্তি একবার দরূদ পড়ে তবে তার প্রতি ১০টি রহমত নাজিল হয়।
আর যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ৮০ বার এ দরুদ পড়বে, তার ৮০ বছরের গোনাহ্ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে।
দরূদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দুরুদ হচ্ছে ‘দরূদে ইবরাহিম’; যা নামাজে পড়া হয়।
>> জুমআর দিন দোয়া কবুলের কিছু সময় বা মুহূর্ত রয়েছে; সে সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া ও ইসতেগফার করা।
বিশেষ করে
জুমআর দিন ও জুমআর নামাজ আদায় মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ দিন। এ দিনের প্রতিটি আমলই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর নামাজ পরিত্যাগ করার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (ইচ্ছা করে) অলসতাবশত তিনটি জুমআ ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়ে মোহর মেরে দেন।’ (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালেক)
পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআর দিনের আমল ও করণীয়গুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআর দিনে মর্যাদা ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে সবাইতে মাফ করে দিন। আমিন।
তাদের ইশতেহারে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখার প্রতিশ্রুতি গবেষণা খাতকেও এগিয়ে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক ড. জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আগামীর বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে গবেষণা খাতে বাড়তি বরাদ্দ থাকছে। আমাদের দেশে অনেক ভালো গবেষক আছেন। কিন্তু, ফান্ডের অভাবে তারা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না। কিন্তু, বাজেটে এই বরাদ্দ থাকায় এখন তারা গবেষণা করতে পারবেন।’
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তরুণদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফোর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন অটিজম বিশেষজ্ঞ ও সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তারানা হালিম।
]]>মঙ্গলবার ইসির সঙ্গে বৈঠক করেও সিদ্ধান্তটির তীব্র প্রতিবাদ জানায় সাংবাদিকরা। ফলে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বুধবার আলোচনায় বসে।
গত ২১ ডিসেম্বর এক নীতিমালা জারি করে নির্বাচন কমিশন নিষেধাজ্ঞাটি দিয়েছিল। এর পর দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, বুদ্ধিজীবীরা এর বিরোধিতা করেন।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক জানান, নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশনের কাছে বিষয়টি তোলা হয়েছে। এখন অনুমোদন হলেই নতুন আদেশ জারি করা হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনকালীন সময়ে যানবাহন চলাচলের ওপর নানাবিধ বিধিনিষেধ আরোপ করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২৮ ডিসেম্বর দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একইসঙ্গে এবারের নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
]]>রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান আ. হান্নান ডাব্লু এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আ. খালেক। সম্মানিত অথিতি ছিলেন বাগেরহাট ৩ আসনের নৌকার প্রার্থী হাবিবুন নাহার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ, আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ আ. ওহাব, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জামিল হাসান জামু, মোল্ল্যা আঃ রউফ, ভাইস চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন,উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকতারুজ্জামান, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মো. আবু হানিফ, ছাত্রলীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান, শেখ সাদী সহ নেতৃবৃন্দ।
এ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ও এলাকাবাসী জনসভায় অংগ্রহন করেন। এর আগে সকালে রামপালের গৌরম্ভা ইউনিয়নের আদাঘাট স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি মেয়র।
]]>রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তিরহাটে নির্বাচনী গণসংযোগকালে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে এ ঘটনার পর কুশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিনের বাড়ি ও বাজারের দোকানঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে।
আহতরা হলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুবদল নেতা বদরুল আলম শ্যামল, মামুন, সৈকত, বরকত উল্লা, জাহিদ, আবদুল খালেকসহ ২১ জন। তাদেরকে সদর হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের বাধায় আহত বরকত উল্যাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের আহত নেতাকর্মীরা হলেন জুয়েল, রাছেল, আরিফ, ইউছুফ ও সিরাজসহ ১২ জন।
আহত শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, সকালে নির্বাচনী গণসংযোগকালে পুলিশের উপস্থিতিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২১জন আহত হয়। হাসপাতালে আহতরা গেলে তাদের ঘেরাও করা হয়। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি জানাই।
কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, এ্যানি তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহত করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশ পরিদর্শক মফিজ ও উপ-পরিদর্শক রাজ্জাক আহত হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
লর্ক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ্যানিসহ বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসে; তাদের চিকিৎসা চলছে। এ্যানিকে এক্সরেসহ কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে।
]]>প্রথমবার এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্বর্ণপদক সহ তিনটি ব্রোঞ্জপদক ও দু’টি অনারেবল মেনশন পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের এই ২০-তম আসর বসেছে। ইতোমধ্যে মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে অলিম্পিয়াডের মূল পর্ব।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের পাঁচটি দেশের প্রায় ৮০০ জন প্রতিযোগী এবারের অলিম্পিয়াডে অংশ নিচ্ছে।
]]>এ সময় সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক একেএম নাজমুল হক সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৬ নং ওয়ার্ড থেকে শুরু হয়ে লালমাটিয়া, কালশী রোড, মিরপুর-১২, ইস্টার্ন হাউজিং, দুয়াড়িপাড়া, আরিফাবাদ, রুপনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় বিশাল শোডাউন প্রদর্শন করে দলটি।
এ সময় সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক একেএম নাজমুল হক সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৬ নং ওয়ার্ড থেকে শুরু হয়ে লালমাটিয়া, কালশী রোড, মিরপুর-১২, ইস্টার্ন হাউজিং, দুয়াড়িপাড়া, আরিফাবাদ, রুপনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় বিশাল শোডাউন প্রদর্শন করে দলটি।
এ সময় সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক একেএম নাজমুল হক সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৬ নং ওয়ার্ড থেকে শুরু হয়ে লালমাটিয়া, কালশী রোড, মিরপুর-১২, ইস্টার্ন হাউজিং, দুয়াড়িপাড়া, আরিফাবাদ, রুপনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় বিশাল শোডাউন প্রদর্শন করে দলটি।
এ সময় সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক একেএম নাজমুল হক সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
]]>হামলাকারীরা ইসলামী ফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারনার সিএনজি অটোরিক্সাসহ ৪টি গাড়ী ভাঙচুর করে। এসময় ইসলামী ফ্রন্টের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। তাদেরকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া বলে জানায় ইসলামী ফ্রন্টের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বিবিরহাট বাস স্টেশন এবং মনিরা কমিউনিটি সেন্টারের সামনের এলাকায় দু দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসলাম ফ্রন্ট প্রার্থী মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন ফটিকছড়ির বিবিরহাট বাসস্টেশন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনা চালানোর সময় ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ ইসলামী ফ্রন্টের শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় হামলা করে।
দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত গ্রুপটি হঠাৎ কোন কিছু বুঝে উঠার আগে হামলা চালায়। পরে ইসলামী ফ্রন্টের কর্মী এবং স্থানীয় প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আকতার হামলার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এ দিকে এ ঘটনার পর উপজেলার বাস স্টেশনের মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বরে তাৎক্ষনিক এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, আমরা আজকে দলের চেয়ারম্যানসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। সেখানে সরকারী দলের নৌকার কর্মীরা আমাদের প্রচারনার উপর অতর্কিত হামলা করে।
তিনি এ ঘটনার জন্য ফটিকছড়ির সাংসদ নজিবুল বশরকে দায়ী করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন বলেন, ফটিকছড়িতে মোমবাতির পক্ষে গনজাগরন সৃষ্টি হয়েছে।
এ গনজাগরন স্তব্ধ করার শক্তি কারো নেই। আমাদের আদর্শিক কাফেলা, আমরা শান্তিতে বিশ্বাসি। আমরা কারো প্রতি পক্ষ নই। আমরা স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রচারনায় প্রতি পদে পদে বাধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আপনারা যদি এটা বন্ধ না করেন তাহলে সারা দেশে যদি আন্দোলন ছড়িয়ে পরে সে জন্য আপনারা দায়ি থাকবেন।
উল্লেখ্য, এই আসনে মহাজোটের মনোনীত নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করছেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান বর্তমান এমপি নজিবুল বশর। এবার তারই বিরুদ্ধে ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মোমবাতি (স্বতন্ত্র) প্রতিকে লড়ছেন সাইফুদ্দিন আহম মাইজভান্ডারী।
এছাড়াও এই আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির ধানের শীষ প্রতিকে আজিম উল্লাহ বাহার ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতিকে লড়ছেন মো.
]]>মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে সভা শেষে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপির মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর।
মির্জা ফখরুল মঙ্গলবার সিইসির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে সিইসির আচরণের সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন নয়, হোলি খেলা হচ্ছে।
এর আগে বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভা বর্জনের পর জরুরি বৈঠক ডাকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চলমান বৈঠক বর্জন করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বেরিয়ে আসেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। ওই দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে তুমুল উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।
উত্ত্যপ্ত বাক্যবিনিময় হয় দুপক্ষে। একপর্যায়ে সভাশেষ না করেই সংক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনসহ অন্যরা।
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারে হামলা-বাধা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ শুনতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনীহা প্রকাশ করেন।
উপরন্তু তিনি পুলিশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার সঙ্গে ‘অশোভন আচরণ’ করেন। এ কারণে তারা সভা থেকে উঠে আসেন।
]]>