সোমবার প্রথম দিন তার হাত ধরেই বাংলাদেশ এসএ গেমসে পদকের খাতা খুলে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত কাতায় ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন অন্তরা। ব্রোঞ্জের হতাশা কাটিয়ে এবার সোনা জিতলেন তিনি। ব্যক্তিগত কুমি অনুর্ধ্ব-৬১ কেজি ওজন শ্রেণিতে নেপালের অনুগুরুংকে ৫-২ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়ে সোনা জেতেন অন্তরা। চলতি এসএ গেমসে এটি নারী অ্যাথলেটদের দ্বিতীয় সোনা জয়। আজ সকালেই ব্যক্তিগত কুমি-৫৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে সোনা জিতেছেন মারজানা আক্তার প্রিয়া।
সোনা জয়ের পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে অন্তরা বলেন,‘গতকাল আমাদের (কারাতে ইভেন্ট) কেউ সোনা জিততে পারেনি।
সারাদিন দেখেছি বাংলাদেশের পতাকা নিচে থাকতে। আজ লাল সবুজের পতাকা উপরে তুলতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা হয় সোনা জয় দিয়ে। কুমি অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন শ্রেণিতে পাকিস্তানের প্রতিযোগীকে ৭-৩ পয়েন্টে উড়িয়ে দিয়ে সোনা জেতেন আল-আমিন।
প্রথম দিন তায়কোয়ান্দো থেকে আসে বাংলাদেশের প্রথম সোনা। ছেলেদের একক পুমসের ঊর্ধ্ব-২৯ বছর বয়স শ্রেণিতে শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগীকে হারিয়ে সোনার হাসি হাসেন রাঙামাটির দিপু চাকমা।
]]>দেখতে দেখতে সময়ও হয়ে এলো। আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। আগামী ৮ ডিসেম্বর রোববার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বিপিএলের। আগেই জানা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের বিপিএলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
এদিকে বিপিএল শুরুর সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে দুটি প্রশ্ন উকি-ঝুকি দিচ্ছে। এক হচ্ছে, কেমন হবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান? দুই, এবার তারকা ক্রিকেটারের সংখ্যা থাকবে কেমন? আগেরবারের চেয়ে কম না বেশি?
প্রথম প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিপিএল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রুপালি পর্দার সোনালি তারকা, চলচ্চিত্র অভিনেতা- অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকার বড় ধরনের সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টাই আছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই তারকাদের বড় ও মূল অংশটি আসবেন ভারত থেকে। বলিউডের অন্তত চার থেকে পাঁচজন স্টারকে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় নামটি বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের। সঙ্গে থাকবেন হার্টথ্রব নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফও। এছাড়াও আরও তিন থেকে চারজন বলিউড স্টারকে আনার চেষ্টা চলছে। সাথে বাংলা ও হিন্দি সঙ্গীত জগতেরও বেশ কজন শীর্ষ তারকার উপস্থিতির জোর সম্ভাবনা আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিশ্চিত। সালমান খান একা নন, নিশ্চিত হয়েছে ক্যাটরিনা কাইফের নামটিও।
হাওয়া থেকে পাওয়া খবর নয়। ক্রিকেট পাড়া ও শেরে বাংলার আশপাশের হাওয়ায় ওড়া খবরও নয়। খোদ বিসিবির শীর্ষ কর্তার দেয়া তথ্য এটা। আজ সন্ধ্যায় এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন।
বিসিবি সিইও বলেন, ‘আমরা বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তারকার সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা করছি। কারা কারা বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে আলোকিত করতে ও রং ছড়াতে আসছেন, এ মুহূর্তে সেই তালিকা চূড়ান্তভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ সবার অংশগ্রহণ এখনও নিশ্চিত হয়নি। হলেই আমরা ঘোষণা দেবো- কারা আসছেন, কবে কখন আসছেন। তবে এটুকু বলতে পারি বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফ আসছেন। তারা ইতিমধ্যেই তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।
নিজামউদ্দিন চৌধুরী যোগ করেন, ‘আমাদের সাথে ঐ দুই বলিউড স্টারের কথা বার্তা চূড়ান্ত। সালমান আর ক্যাটরিনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেনই। এর বাইরে আমরা আরও কজনার সাথে কথা বলছি। সেই তালিকায় নামি অভিনেতা-অভিনেত্রী ও গায়ক- গায়িকা আছেন। তবে সেই সংখ্যা চূড়ান্ত হয়নি। তাই আমরা তাদের নাম প্রকাশ করতে চাই না। তবে সালমান-ক্যাটরিনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তারা আসছেন।
জানা গেছে, উপমহাদেশের এই সময়ের নামি ও জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিংও আছেন বিসিবির সম্ভাব্য শিল্পীর তালিকায়। তার আসাও নাকি একরকম নিশ্চিত।
]]>ফলাফল? যা হবার তাই হলো। পাকিস্তানের পেস তোপ ও স্পিন ঘূর্ণিতে মাত্র ৪৩ ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে গিয়ে শিরোপা স্বপ্ন ভাঙল বাংলাদেশের। আর পাকিস্তান জিতল প্রথম ইমার্জিং এশিয়া কাপের শিরোপা।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টেলএন্ডার মেহেদি হাসান খেলেছেন ৪৫ বলে ৪২ রানের ইনিংস। ওপেনার নাইম শেখ ১৬, সৌম্য সরকার ১৬, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ২২, জাকির হাসান ৯, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫, সুমন খান ৩, হাসান এবং মাহমুদ অপরাজিত ৭ ও তানভির ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে সাইফ বদর, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন ২টি করে এবং সামিন গুল, আমাদ বাট ও উমর খান ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালের লড়াইয়ে টস হেরে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আয়োজক দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দলীয় ৪১ রানে দুই ওপেনারকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমান করেন লাল সবুজের এই দলপতি। ওপেনার ওমর ইউসুফকে ৪ রানে উইকেটরক্ষক মাইদুল ইসলাম অঙ্কনের গ্লাভসে তুলে দেন সুমন খান। আরেক ওপেনার হায়দার আলীর শিকারিও সেই সুমন। ব্যাট হাতে ক্রমাগত ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ডান হাতিকে ২৬ রানে নাইম শেখের ক্যাচে পরিণত করেন।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলটির ব্যাটিংয়ে চিড় ধরাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে স্বাগতিক বোলারদের। রোহাইল নাজির ও ইমরান রফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটে এই জুটিতে আসে ১১৭ রান। এরপরেই অবশ্য পা হড়কান ইমরান রফিক। ব্যক্তিগত ৬২ রানে মেহেদি হাসানের ঘূর্ণিতে সৌম্য সরাকারের ক্যাচ বনে যান। পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ তখন ১৫৮ রান।
রফিকের ফেরায় উইকেটে আসেন অধিনায়ক সউদ শাকিল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাকে নিয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথে ব্যাট ছোটান রোহাইল নাজির। তুলে নেন সেঞ্চুরিও। অবশেষ ৪৫ তম ওভারে দুধর্ষ রোহাইলের ব্যাটে শেকল পড়ান হাসান মাহমুদ। ১১৩ রানে এই পাক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে এলবি’র ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন।
এই সংগ্রহে রোহাইল খেলেছেন ১১১টি বল। যেখানে চারের মার ছিল ১২টি ও ছয় ৩টি। পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ তখন ২৪৩। সেট ব্যাটসম্যান রোহাইলকে হারালেও পাক শিবিরের মনোবলে এতটুকু চিড় ধরেনি। পরে অর্ডারে যিনিই ব্যাটিংয়ে এসেছেন ঝড়ো ব্যাটিং করে গেছেন। যা পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ ৩শ পেরিয়ে যেতে সহায়ক ভুমিকা রেখেছে।
পঞ্চম উইকেটে আসা খুসদিল শাহর কথাই ধরুন না। ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে হাসান মাহমুদের শিকারে পরিণত হলেও দলকে ঠিকই সমৃদ্ধ সংগ্রহের জ্বালানি যুগিয়ে গেলেন। উইকেটের অপর প্রান্তে থাকা অধিনায়ক ৪০ বলে ৪২ রান করে সুমন খানের বলে ফিরলেও পাকিস্তানকে দাঁড় করিয়ে দিলেন ৩শ রানের একেবারে সম্মুখে (২৯১)। এরপর আমাদ বাটের অপরাজিত ৭ বলে ১৫ রান দলটিকে দিল ৬ উইকেটে ৩০১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
]]>