অ্যাপলের দুর্দশার কারণ হিসেবে চীনের অর্থনৈতিক অবস্থাকে দায়ী করেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক। দেশটি থেকে মোট বিক্রি হওয়া অ্যাপল পণ্যের ১৮ শতাংশ আয় আসে। বাজার বিশ্লেষকেরা বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীরগতি, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ প্রভৃতি কারণে মানুষের কেনাকাটার অভ্যাসে পরিবর্তন আসছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন।
]]>সেই উৎসবে যোগ দিতেই আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছে জনস্রোত।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫৭টি আসনে জয় পায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছে দলটি। শেখ হাসিনা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
ভোটের ১৯ দিন পর আজ বিজয় উৎসব পালন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। জনসভার মধ্যমণি থাকবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সভাস্থলে যাঁরা আসছেন, তাঁদের অনেকের গায়ে লাল-সবুজ টি–শার্ট। সবুজ, হলুদ আর লাল টুপি মাথায়। হেঁটে, পিকআপ, ট্রাক ও বাস করে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা যাচ্ছেন সমাবেশস্থলে। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা ছুটছেন সোহরাওয়ার্দীর দিকে। অনেকের হাতে আছে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা।
সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশস্থলে ঢোকার একাধিক ফটকে দেখা গেছে ব্যাপক ভিড়। উদ্যানের ঢোকার আগে তল্লাশি চলছে সবার। মঞ্চের আশপাশে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা ও বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। ফটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার ছবি এবং এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অর্জনের ছবি রাখা হয়েছে।
]]>দলের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, বিজয় সমাবেশ হলেও এতে দলের মন্ত্রী, সাংসদ, নেতাসহ সবার প্রতি দুর্নীতিবিরোধী বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সরকার কী কী করেছে, সামনে সরকারের অগ্রাধিকার কী, তা তুলে ধরবেন তিনি। গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নির্বাচিত সাংসদদের শপথ নিয়ে সংসদে আসার আহ্বান থাকতে পারে।
গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ২৫৭ আসনে জয়ের পর কোথাও কোনো বিজয় মিছিল করেনি আওয়ামী লীগ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের মাধ্যমে তা উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিলেও বিজয় উদ্যাপনে শরিকদের সরাসরি অংশগ্রহণ থাকছে না। শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের শ্রোতা হিসেবে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়।
মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিন টানা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগ, ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার নেতা ও সাংসদদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। দফায় দফায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার পরিদর্শনের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিজয় সমাবেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার বার্তা থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বেলা আড়াইটায় সমাবেশ শুরু হবে। এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সমাবেশস্থলে খাবার পানি, পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও থাকবে।
সমাবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নেতা-কর্মীদের মিছিলে বহন করে আনা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। উদ্যানের ছয়টি গেটের মধ্যে শিখা চিরন্তন গেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় নেতারা, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেট দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন। তিন নেতার মাজারসংলগ্ন গেট, বাংলা একাডেমির সামনের গেট, টিএসসি গেট ও চারুকলার সামনের গেট দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রবেশ করবেন। সমাবেশের বিশাল প্যান্ডেলে প্রায় ৩০ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে।
১৪ দল আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নেবে না
১৪ দল জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও এই সমাবেশে তাদের আনুষ্ঠানিক অংশগ্রহণ থাকছে না। তবে ১৪ দলের শরিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত আছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের দপ্তরকে জানিয়েছেন, শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। নির্বিঘ্নে অতিথি হিসেবে সমাবেশস্থলে প্রবেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের কাছে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের নামের তালিকাও পাঠানো হয়।
তবে গতকাল ১৪ দলের একাধিক শরিক দলের নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তাঁরা আমন্ত্রণ পাননি। এই বিষয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা জানান, গতকাল বিকেল পর্যন্ত তাঁরা আমন্ত্রণ পাননি। একই কথা জানিয়েছেন জাসদের (আম্বিয়া) সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন।
তবে সন্ধ্যায় জাসদের (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু জানান, ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের পক্ষ থেকে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম জানান, তাঁকে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় থেকে ফোন করে সমাবেশে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪ দলের শরিক দলের একাধিক শীর্ষ নেতা প্রথম আলোকে বলেন, শুধু শোনার জন্য সমাবেশে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁদের আগ্রহ কম। সাধারণত, আওয়ামী লীগের বড় কোনো কর্মসূচি থাকলে এর আগে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। এবার নির্বাচনের পর আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হয়নি। নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৪ দলের নেতারা একসঙ্গে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর বাইরে আর ১৪ দলের কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়নি। ফলে সমাবেশে যাওয়া না-যাওয়ার বিষয়ে কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ হয়নি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেউ কেউ গেলেও যেতে পারেন।
আওয়ামী লীগের দুজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশমঞ্চে শুধু আওয়ামী লীগের নেতারাই থাকবেন। বক্তৃতাও করবেন আওয়ামী লীগের নেতারাই। ১৪ দলের নেতা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা, মন্ত্রী ও সাংসদদের জন্য সামনের সারিতে আসনের ব্যবস্থা করা হবে।
]]>উল্লেখিত হাদিসেরর আলোকে বুঝা যায় যে, কোনো ব্যক্তি যদি ফজরের নামাজ পড়ার পর পরদিন ফজরের নামাজ আদায় করে তবে এ সময়ে মধ্যে করা সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। অনুরূপভাবে এক জুমআ থেকে অপর জুমআ এবং এক রমজানের রোজা আদায়ের পর থেকে পরবর্তী রমজানের রোজা আদায় করে তবে ওই ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত পূর্ণ এক বছরের সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
জুমআর দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। এগুলো মধ্যে তিনটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর তাহলো-
>> জুমআর দিনে ‘সুরা কাহফ’ তেলাওয়াত করা। পবিত্র কুরআনুল কারিমের ১৫তম পারার ১৮নং সুরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সুরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে তবে সে যেন এ সুরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে।
ফজিলত
– যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর (পরবর্তী) জুমা পর্যন্ত নূর হবে।
– যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, সে আটদিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।
– এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।
>> জুমআর দিনে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ। যদি কোনো ব্যক্তি একবার দরূদ পড়ে তবে তার প্রতি ১০টি রহমত নাজিল হয়।
আর যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ৮০ বার এ দরুদ পড়বে, তার ৮০ বছরের গোনাহ্ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে।
দরূদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দুরুদ হচ্ছে ‘দরূদে ইবরাহিম’; যা নামাজে পড়া হয়।
>> জুমআর দিন দোয়া কবুলের কিছু সময় বা মুহূর্ত রয়েছে; সে সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া ও ইসতেগফার করা।
বিশেষ করে
জুমআর দিন ও জুমআর নামাজ আদায় মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ দিন। এ দিনের প্রতিটি আমলই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর নামাজ পরিত্যাগ করার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (ইচ্ছা করে) অলসতাবশত তিনটি জুমআ ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়ে মোহর মেরে দেন।’ (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালেক)
পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআর দিনের আমল ও করণীয়গুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআর দিনে মর্যাদা ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে সবাইতে মাফ করে দিন। আমিন।
তাদের ইশতেহারে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখার প্রতিশ্রুতি গবেষণা খাতকেও এগিয়ে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক ড. জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আগামীর বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে গবেষণা খাতে বাড়তি বরাদ্দ থাকছে। আমাদের দেশে অনেক ভালো গবেষক আছেন। কিন্তু, ফান্ডের অভাবে তারা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না। কিন্তু, বাজেটে এই বরাদ্দ থাকায় এখন তারা গবেষণা করতে পারবেন।’
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তরুণদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফোর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন অটিজম বিশেষজ্ঞ ও সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তারানা হালিম।
]]>মঙ্গলবার ইসির সঙ্গে বৈঠক করেও সিদ্ধান্তটির তীব্র প্রতিবাদ জানায় সাংবাদিকরা। ফলে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বুধবার আলোচনায় বসে।
গত ২১ ডিসেম্বর এক নীতিমালা জারি করে নির্বাচন কমিশন নিষেধাজ্ঞাটি দিয়েছিল। এর পর দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, বুদ্ধিজীবীরা এর বিরোধিতা করেন।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক জানান, নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশনের কাছে বিষয়টি তোলা হয়েছে। এখন অনুমোদন হলেই নতুন আদেশ জারি করা হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনকালীন সময়ে যানবাহন চলাচলের ওপর নানাবিধ বিধিনিষেধ আরোপ করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২৮ ডিসেম্বর দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একইসঙ্গে এবারের নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
]]>রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান আ. হান্নান ডাব্লু এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আ. খালেক। সম্মানিত অথিতি ছিলেন বাগেরহাট ৩ আসনের নৌকার প্রার্থী হাবিবুন নাহার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ, আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ আ. ওহাব, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জামিল হাসান জামু, মোল্ল্যা আঃ রউফ, ভাইস চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন,উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকতারুজ্জামান, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মো. আবু হানিফ, ছাত্রলীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান, শেখ সাদী সহ নেতৃবৃন্দ।
এ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ও এলাকাবাসী জনসভায় অংগ্রহন করেন। এর আগে সকালে রামপালের গৌরম্ভা ইউনিয়নের আদাঘাট স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি মেয়র।
]]>রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তিরহাটে নির্বাচনী গণসংযোগকালে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে এ ঘটনার পর কুশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিনের বাড়ি ও বাজারের দোকানঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে।
আহতরা হলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুবদল নেতা বদরুল আলম শ্যামল, মামুন, সৈকত, বরকত উল্লা, জাহিদ, আবদুল খালেকসহ ২১ জন। তাদেরকে সদর হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের বাধায় আহত বরকত উল্যাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের আহত নেতাকর্মীরা হলেন জুয়েল, রাছেল, আরিফ, ইউছুফ ও সিরাজসহ ১২ জন।
আহত শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, সকালে নির্বাচনী গণসংযোগকালে পুলিশের উপস্থিতিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২১জন আহত হয়। হাসপাতালে আহতরা গেলে তাদের ঘেরাও করা হয়। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি জানাই।
কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, এ্যানি তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহত করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশ পরিদর্শক মফিজ ও উপ-পরিদর্শক রাজ্জাক আহত হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
লর্ক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ্যানিসহ বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসে; তাদের চিকিৎসা চলছে। এ্যানিকে এক্সরেসহ কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে।
]]>