শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও নেতাকর্মীরা কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েন।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হবে বিকেলে। সেজন্য জুমার নামাজের পর থেকেই বিএনপির কার্যালয় এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির কার্যালয় ঘিরে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল সহকারে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন।
নেতাকর্মীদের পদচারণার মধ্যেই ককটেলটির বিস্ফোরণ ঘটলে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে খানিকবাদেই আবার মিছিলে মিছিলে বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়ক সরব করে তোলেন নেতাকর্মীরা।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
]]>বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার যে শারীরিক সমস্যাগুলো আছে সেগুলো বহু পুরনো। তার হাঁটুর ব্যথা, কোমরের ব্যথা নতুন নয়। এগুলো নিয়েই তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুইবার বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পুরনো শারীরিক সমস্যাকে বড় করে দেখিয়ে বিএনপি প্রতিনিয়ত তথ্যসন্ত্রাস করছে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভী আহমেদের গতকালকের বক্তব্য তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই নয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছি। সেই কাজে আমি যাতে সফল হই সেজন্য প্রথম থেকেই চেষ্টা করবো। আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নের কথা বলেছেন। আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সেই স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে চাই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছবে।
এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
]]>এছাড়া আরেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমও মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এছাড়া নাজমুল হক ও এম এ রশীদ দক্ষিণ সিটির হয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
আর ঢাকা উত্তর সিটিতে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম। এছাড়া ইয়াজ আল ফকির, নাজমুল হক, শহীদুল্লাহ ওসমানীও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তাদের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন নেতাকর্মীরা।
বেলা তিনটার দিকে মেয়র আতিকুলের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুদ্দিন ইমন এবং ছোট ভাই আবু মাহমুদ খান মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ করেন। আর বেলা সোয়া তিনটার দিকে শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ কামাল।
আগামী শুক্রবার পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে।
গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ জানুয়ারি দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পুরো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
সিইসি কেএম নূরুল হুদা জানান, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।
দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোয়নে চমক থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, যারা আছেন, তাদেরকেই রাখা হবে; প্রার্থী বাছাইয়ে সেটাকে মাথায় রাখা হয় না। বরং তারা দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের কতটা আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন, সেটাই বিবেচনায় রাখা হবে।
এদিকে নানক বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়ন দেবে না আওয়ামী লীগ। গ্রহণযোগ্য কাউকেই মনোনয়ন দেয়া হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সব স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করলেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি। এদিকে নির্বাচনের আমেজ শুরু না হলেও তফসিল পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের মাঠ প্রভাবমুক্ত রাখতে আর নির্বাচনী আচরণ বিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে দুই একদিনের মধ্যেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দুই সিটির রিটার্নিং অফিসাররা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনিসুল হক আর দক্ষিণে সাঈদ খোকন নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ায় মেয়র পদটি শূন্য হয়। এরপর চলতি ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর সিটির উপ-নির্বাচনে মেয়র হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫৪টি সাধারণ এবং ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬১১ জন। আর ৭৫টি সাধারণ এবং ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটিতে ভোটার ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।
]]>বুধবার নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর বিএনপির কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
সকাল ১০টা থেকে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির কার্যক্রম চলে বেলা ৫টা পর্যন্ত। আর বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এই কার্যক্রম যথারীতি চলবে। একইসঙ্গে যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা জমা দেবেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর দপ্তর সম্পাদক এবিএম রাজ্জাক এবং দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বৃহস্পতিবার মনোনয়ন ফরম বিতরণ করবে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম নিতে হবে। শুক্রবার বিকাল ৪টার মধ্যে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে হবে। এরপর নীতি নীতিনির্ধারকরা যাচাই-বাছাই করে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে শনিবার প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। আজ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে বিএনপির প্রার্থীরা জয়যুক্ত হবেন।’
প্রার্থী পছন্দের ক্ষেত্রে কী কী বিবেচনা করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দলীয় সংগ্রাম, ত্যাগ, দলীয় প্রতিশ্রুতি, নেতাকর্মীদের প্রতি ভালোবাসা, দলের প্রতি দায়বদ্ধতা বিবেচনা করে আমরা মনোনয়ন দেব।’
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন গঠিত। এ নির্বাচনে এক হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের সাত হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই সিটিতে মোট ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন।
অপরদিকে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠিত। এ নির্বাচনে এক হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের পাঁচ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই সিটিতে মোট ভোটার রয়েছেন ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।
]]>চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে নওফেল। তার রাজনীতির শুরুটা হয়েছে চট্টগ্রামের মাটিতে বাবার পাশে থেকেই। রাজনীতির মাঠের বাইরে মহিবুল হাসান ঢাকা বারের আইনজীবী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিরও সদস্য এবং বেসরকারি টেলিভিশন বিজয় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর শনিবার ও রোববার ফেসবুকে নিজের মত প্রকাশ করেছেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। স্ট্যাটাস দুইটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
ব্যারিস্টার নওফেল রোববার ফেসবুকে লেখেন, ‘বাংলাদেশের অভিভাবক, আমাদের এই বিশাল আওয়ামী পরিবারের অভিভাবক, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সময় কাল ভেদে আমাদেরকে একেকটি রাজনৈতিক দায়িত্ব একেক সময় বন্টন করেন। কখনো দলের, কখনো সরকারের, আবার কখনো কর্মী হিসেবে দলের প্রচারণার জন্য দায়িত্ব দেন। যখন যেই দায়িত্ব তিনি দেবেন, সেটা পালনই আমাদের কাজ। আমি এখন সংসদ সদস্য, আবার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত। নেত্রী তিন বছর আগে সাংগঠনিক সম্পাদক করেছিলেন। এখন এই সরকারি দায়িত্ব দিয়েছেন, আবার সিদ্ধান্ত নিবেন ভবিষ্যতে, যা সেই সময় প্রয়োজন হবে সেটা বিবেচনায়। আবার অন্য কেউ আসতে পারে যে কোনো কাজের জন্য। শুভাকাঙ্ক্ষী অনেকে আমাকে বলছেন এই অপেক্ষা, বৃহৎ কিছু, ইত্যাদি।
আপনাদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমাদের এই বিশাল পরিবারে আমাদের মাতৃতূল্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নানান ভাবে নানান জনকে বিবেচনায় নিতে হয়। অনেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলছেন এই চাওয়া, সেই পাওয়া, অনেক আকাঙ্খার কথা, ইত্যাদি। আমি আপনাদের বলবো দয়া করে এইসবের চাইতে দেশের মানুষের জন্য আমি আপনি কি করতে চাই, কিভাবে তাদের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করতে পারি, কিভাবে আপনার আমার নিজের পেশা, বৃত্তি বা ক্ষেত্রে নিজেকেও এগিয়ে নিয়ে গিয়ে, দেশকে এগিয়ে দিতে পারেন এই চিন্তা করা আমাদের উচিৎ। আমাদের রাজনৈতিক জ্ঞান চর্চা আর স্বীয় পেশাগত উন্নয়নে কাজ করতে হবে, যদি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে চাই।
রাজনীতি কোনো অর্থনৈতিক বা পেশাগত সম্পদ নয় যাতে শুধুই প্রমোশন হয় আর স্থায়ী কাজ বা দায়িত্ব থাকে। রাজনীতি কোনো বৃত্তি নয়, এটি একটি আদর্শিক চেতনার জায়গা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশ কে এগিয়ে দিতে, যার যার জায়গা থেকে আমাদের সক্রিয় হতে হবে, নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে সেই আদর্শিক অবস্থান থেকে, কে, কি, দায়িত্বে আছি সেটা বড় কথা নয়।’
এর আগে শনিবার দলের পুনর্র্নিবাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছবি যুক্ত করে ফেসবুক আরেকটি স্ট্যাটাস দেন ব্যারিস্টার নওফেল। তিনি লেখেন, ‘অভিনন্দন ও শুভ কামনা, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দলের ২১তম সম্মেলনে নির্বাচিত হয়ে এই দলকে আবারো পথ দেখিয়ে যাবেন, আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর। প্রিয় নেত্রীর যোগ্য সিপাহসালার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জননেতা ওবায়দুল কাদের, আপনাকেও অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা!
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ৬৯ বছরের ইতিহাসে অন্তত একবার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দলের জন্য কাজ করতে পেরেছি, এটাই পরম তৃপ্তি। এখন নতুন সংসদ দায়িত্ব নেবে, এগিয়ে যাবে আমাদের দল। একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আছি, থাকবো, আমৃত্যু। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানেই এই দল, এই দেশ। প্রিয় নেত্রী যতদিন রবে আপনার হাতে এই দেশ, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বর্তমান সরকারের চার মন্ত্রী আওয়ামী লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। তবে আংশিক ঘোষিত কমিটিতে নাম আসেনি মন্ত্রিসভার আট সদস্যের। তারা আগের কমিটিতে বিভিন্ন পদে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সভাপতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক পদে পুননির্বাচিত হয়েছেন। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক নতুন কমিটিতেও সভিপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে রয়েছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এদিকে দলের বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির পদধারী ও বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করছেন এমন পাঁচ নেতা নতুন আংশিক কমিটিতে স্থান পাননি। তারা হলেন, বিদায়ী কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এছাড়া বিদায়ী কমিটির অর্থ সম্পাদক ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মুহম্মদ আবদুল্লাহও নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হননি। অবশ্য এসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী যেসব পদে ছিলেন, সেই পদে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। এই পদগুলো এখনও শূন্য রয়েছে।
]]>রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ডেকে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ডাকসুর সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা আখতার হোসেন বলেন, ভিন্নমত দমনের জন্য সরকার তাদের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে ডাকসু ভিপির ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এর সঙ্গে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ জড়িত বলে অভিযোগ করেন এই নেতা।
উল্লেখ্য, রোববার বেলা পৌনে ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়েন। এতে নুরসহ বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন।
এ সময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নুরসহ সবাইকে কক্ষের লাইট অফ করে দিয়ে মারধর করা হয়। আহত হয়ে কয়েকজন সেখানেই পড়ে আছেন। প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্স এবং রিকশাযোগে হাসপাতালে নেয়া হয়।
]]>মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নুরকে দেখতে সোহেল ঢামেকে যান বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, সন্ধ্যায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হকের শারীরিক খোঁজ-খবর নিতে ঢামেকে গিয়েছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সোহেল।
ভারত মুসলিম বিদ্বেষী নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার প্রতিবাদে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এতে ভিপি নুরসহ সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠে। হামলায় ভিপি নুর ও ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। ভিপি নুর ঢামেকে চিকিৎসা নেন।
]]>এতে বলা হয়, বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জন অব্যাহতি চেয়ে এর আগে আবেদন করেছেন। আর ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোট ৩২ জনকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতিপ্রাপ্তদের তালিকাস্বেচ্ছায় অব্যাহতির আবেদনের ভিত্তিতে যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- সহসভাপতি এস এম তৌফিকিল হাসান সাগর, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বিএম শাহরিয়ার হাসান, হাফিজুর রহমান, এস এম হাসান আতিক, স্বাস্থ্য সম্পাদক শাহরিয়ার ফেরদৌস, উপ স্বাস্থ্য সম্পাদক রাতুল শিকদার, শাফিউল সাজিব, উপপ্রচার সম্পাদক সিজাদ আরেফিন শাওন, উপপাঠাগার সম্পাদক রুশী চৌধুরী, সহসম্পাদক আঞ্জুমানারা অনু৷ তাদের বিরুদ্ধে, মাদক, বিবাহিত, ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্তসহ সংগঠনের গঠনতন্ত্র বহির্ভূত অভিযোগ ছিল।
অভিযোগের ভিত্তিতে অব্যাহতি পাওয়া ২১ ছাত্রলীগ নেতা হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভির, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, বরকত হোসেন হাওলাদার, শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ, সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথী, মুনমুন নাহার বৈশাখী, আবু সাঈদ, রুহুল আমিন, রাকিব উদ্দিন, সোহেল রানা, ইসমাইল হোসেন তপু। দফতর সম্পাদক আহসান হাবীব, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তাজ উদ্দীন, উপদফতর সম্পাদক মমিন শাহরিয়ার ও মাহমুদ আব্দুল্লাহ বিন মুন্সী, উপসাংস্কৃতিক সম্পাদক বি এম লিপি আক্তার ও আফরিন লাবনী, সহসম্পাদক সামিয়া সরকার ও রনি চৌধুরী।
তাদের মধ্যে সহসভাপতি তানজিল ভুঁইয়া তানভির বয়স উত্তীর্ণ, আরেফিন সিদ্দিক সুজন মাদক ব্যবসায়ী, রুহুল আমিন ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত, সাদিক খান বিবাহিত, সোহানী হাসান তিথী বিবাহিত, দফতর সম্পাদক আহসান হাবিব চাকরিজীবী, মুনমুন নাহার বৈশাখীর বিরুদ্ধে বিবাহিত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের পদ হারানো সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান গত বছরের ৩১ জুলাই। দায়িত্ব পাওয়ার ৯ মাস পর গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই কমিটিতে বিতর্কিতদের পদায়ন করার অভিযোগ তোলেন পদবঞ্চিতরা।
প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাদের ওপর শোভন-রাব্বানীর অনুসারীরা হামলা চালায়। এরপর হামলাকারীদের বিচার ও ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত করার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে এক মাসের বেশি সময় ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন পদবঞ্চিতরা। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯ জনের পদ শূন্য করেন শোভন-রাব্বানী। তবে সে সময় তাদের নাম ও পদবি প্রকাশ করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন পদবঞ্চিতরা। এরই মধ্যে শোভন-রাব্বানীকে পদ থেকে অপসারণ করা হলে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান খান জয় ও -লেখক ভট্টাচার্য। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত করতে কাজ শুরু করেন তারা। অবশেষে দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাস পর বিতর্কিত নেতাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে এই বিষয়ে বিতর্কমুক্ত ছাত্রলীগ আন্দোলনের মুখপাত্র বিগত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত করতে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি। আমাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা প্রমাণ হয়েছে। এটি আনন্দের সংবাদ হলেও অব্যাহতিপ্রাপ্তদের তালিকাটি সংক্ষিপ্ত। এখনও অনেক বিতর্কিত রয়ে গেছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে বাদ দেওয়ার দাবি জানাই।’
সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া শাহরিয়ার কবির বিদ্যুতের কাছে জানতে চাইলে সংগঠন থেকে কোনও তথ্য-প্রমাণ ও যাচাই-বাছাই ছাড়াই বাদ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সংগঠনের গঠনতন্ত্রের কোনও সাংঘর্ষিক কাজ আমি করিনি। এর প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
]]>মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার ভোরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় আরও শ্রদ্ধা জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, দেশ শান্তির দিকে এগিয়ে যাবে। বেকারত্বমুক্ত দেশ হবে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ হবে। এ দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করব।’
রাজাকারদের তালিকার বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘আমি এখনো তালিকাটি পরীক্ষা করার সুযোগ পাইনি। পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার পরে মন্তব্য জানাব। তবে আমাদের প্রত্যাশা, সঠিক তালিকাটি প্রকাশিত হোক। দেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কার কী ভূমিকা, তা স্পষ্ট হয়ে উঠবে।’
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনো নিরাপদ হয়নি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্পূর্ণরূপে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আর রাজাকার–সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। একাত্তরের যে লক্ষ্য ও চেতনা ছিল, সে লক্ষ্য অনুযায়ী আমরা সম্পূর্ণভাবে এগোতে পারিনি। আমরা আরও এগোতে পারতাম, যদি পঁচাত্তরের রাজনৈতিক বিপর্যয় না হতো, সামরিক শাসন না থাকত। আর যাতে আমরা হোঁচট না খাই, তার গ্যারান্টি অর্জন করাটাই এ মুহূর্তের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্তব্য।’
]]>