পীরগাছায় লবণের গুজব ঠেকাতে মাইকিং

প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৯

রংপুরের পীরগাছায় লবণের দাম বৃদ্ধি নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুজবে কান না দিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে মাইকিং। বাস্তবে লবণের দাম না বাড়লেও গুজবের কারণে ক্রেতা সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে লবণের দাম।

সোমবার প্রতিকেজি লবণ ৩০ টাকায় বিক্রি করা হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গুজব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে বিকালেই তা ৮০ টাকা কেজি ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন কম্পানির প্যাকেট লবণের পাশাপাশি খোলা লবণও ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, গুজবের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন হাট-বাজারে লবণ বেশী দামে বিক্রি শুরু করেছে। লবণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন খবরে সাধারণ মানুষ মুদি দোকানগুলোতে লবণ ক্রয়ের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন।

সোমবার রাত থেকেই লবণের দাম বাড়ার গুজব ছড়ায় একটি মহল। আর এ গুজব ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে শুরু করে গ্রামে-গঞ্জে। এ গুজবে উপজেলায় ব্যবসায়ীরা লবণের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করছেন। লবণের দাম বাড়ার খবর পেয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দোকানে দোকানে লবণ কিনতে ভিড় করছেন। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় ২৪ জন টিসিবির ডিলার থাকলেও তারা কেউ লবণ বিক্রয় করে না। বিভিন্ন লবণ কম্পানির সরাসরি কোনো ডিলার পীরগাছায় নেই। পাইকারী বিক্রেতারা বিভিন্নভাবে লবণ সংগ্রহ করে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করেন।

পীরগাছা বাজারে বাজার করতে আসা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘লবণের দাম ২০০ টাকা কেজি হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকে ক্রেতারা দোকানে ভিড় করছে লবণ ক্রয়ের জন্য। আমিও লবণ কিনে রাখছি, যাতে দাম বাড়লেও আর কিনতে না হয়।’

উপজেলার কান্দির বাজারের খুচরা লবণ বিক্রেতা বাবু মিয়া জানান, আমি সপ্তাহে একশ কেজি লবণ বিক্রি করি। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যেই সব লবণ শেষ।’

পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমীন প্রধান বলেন, ‘লবণের দাম বৃদ্ধির খবর একটি গুজব। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এমন গুজবে কান না দেয়ার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।