• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন

মরিচের দাম বৃদ্ধি

Reporter Name / ১৪৩ Time View
Update : শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে। তবে বেশির ভাগ সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সেই সঙ্গে গত সপ্তাহে কমে যাওয়া পেঁয়াজের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগের হাজীপাড়া, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা এবং শান্তিনগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আড়তে মরিচের সরবরাহ কিছুটা কমেছে, যে কারণে দাম বেড়েছে। তবে অধিকাংশ সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, বেগুন, কাঁকরোল, ঢেঁড়স, করলাসহ প্রায় সব সবজিই বাজারে ভরপুর। যে কারণে সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা কেজি। আর ২৫০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০-১৫ টাকা। হঠাৎ করে মরিচের দাম বাড়ার বিষয়ে মালিবাগের ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, আড়তে মরিচের সরবরাহ কিছুটা কম। বৃষ্টিতে কিছু কিছু খেতের মরিচ নষ্ট হয়েছে। এজন্যই হয়তো সরবরাহ কমেছে। আর সরবরাহ কমার কারণে দাম বাড়তি। এই ব্যবসায়ী বলেন, মরিচের দাম আরও বাড়বে কি না দুই-একদিন গেলে বোঝা যাবে। এমনও হতে পারে মরিচের দাম আবার কমেও যেতে পারে। কিন্তু বৃষ্টি হলে মরিচের দাম বাড়বে এটা নিশ্চিত। হাজীপাড়া বৌ-বাজারের ব্যবসায়ী ফাতেমা খাতুন বলেন, আড়তে মরিচের দাম বেড়ে গেছে। তাই আমাদেরও বাড়তি দামে মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে যে মরিচ ১০ টাকা পোয়া বিক্রি করেছি আজ তা ১৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪০-৬০ টাকা। আর রোজার শুরুতে কিছু কিছু বাজারে শসা ১০০ টাকা কেজিও বিক্রি হয়। শসার দাম কমলেও কিছুটা বেড়েছে গাজরের দাম। বাজার ও মানভেদে গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেগুন আগের সপ্তাহের মতোই ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পটল ও ঢেঁড়সের দাম কমে ৩০-৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

করলা আগের সপ্তাহের মতোই ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহের মতো এখনো বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁকরোল। প্রতি কেজি কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আগের সপ্তাহেও এ সবজিটির দাম একই ছিল। নতুন করে কিছুটা দাম বেড়েছে বরবটির। গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। তবে ধুন্দল আগের সপ্তাহের মতোই ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙার দামও একই। সবজির দামে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও শাকের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের সপ্তাহের মতো লাল শাক, সবুজ ডাটা শাক, পাট শাক, কলমি শাক ১০-১৫ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। আর পুঁইশাক ও লাউ শাক বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা আটি।

গত সপ্তাহে ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লাল কক মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৮০-২০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে সাদা ব্রয়লার মুরগির। আগের সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ বাজার ও মানভেদে আগের সপ্তাহের মতোই ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, বাজারে কিছু কিছু সবজির দাম কমেছে। যেমন আগের সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা পটল ও ঢেঁড়স এখন বিক্রি করছি ৩০ টাকায়। ৮০ টাকার কাঁকরোল বিক্রি করছি ৬০ টাকা কেজি। তবে কিছুটা দাম বেড়েছে বরবটির। এই সবজিটির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকার মতো। এই ব্যবসায়ী বলেন, কাঁচামালের দাম নির্ভর করে আড়তের ওপর। আড়তে মাল বেশি আসলে দাম স্বাভাবিক ভাবেই কম থাকে। আবার আড়তে মালের ঘাটতি থাকলে দাম বেড়ে যায়। এখন আড়তে গেলেই পছন্দ মতো যেকোনো সবজি আনা যাচ্ছে। যে কারণে আমরাও কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারছি।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা