ইপিএল-এর প্রথম পর্বে চেলসির মাঠে ২-০ গোলে হেরেছিল সিটি। লিগে প্রথমবারের মতো নিতে হয়েছিল পরাজয়ের স্বাদ। তাই-ই ইতিহাদ স্টেডিয়ামে নিজেদের চেনা পরিচিত জগতে চেলসিকে ‘আতিথ্য’ জানাতে একটুও কৃপণতা করেনি পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে ফুলঝুরি ছোটায় স্বাগতিকেরা। ফলাফল—২৫ মিনিটের মধ্যেই চার গোল! কেভিন ডি ব্রুইনের বাড়ানো বল থেকে শট নেন সিলভা। সেটা চেলসি ডিফেন্ডার ডেভিড লুইসের পায়ে লেগে চলে যায় রাহিম স্টার্লিংয়ের কাছে। খেলার শুরুতেই স্টার্লিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। চাপে পড়ে যায় চেলসি। প্রথম গোলের পর ছয় মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন সিটির আর্জেন্টাইন তারকা আগুয়েরো। ২৫তম মিনিটে চেলসির ডিফেন্ডারের ভুলে চতুর্থ গোলটি করেন গুন্ডোগান।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন আগুয়েরো। এ নিয়ে লিগে টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক পেলেন সিটির আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার। ছুঁয়ে ফেললেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবচে বেশি হ্যাটট্রিকের মালিক অ্যালেন শিয়েরারকে। প্রিমিয়ার লিগে এটি ছিল আগুয়েরোর একাদশ হ্যাটট্রিক। যার তিনটিই চলতি মৌসুমে। আর সিটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৫টি হ্যাটট্রিক করেছেন আগুয়েরো। খেলা শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে চেলসির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ম্যাচের প্রথম গোল করা রাহিম স্টার্লিং।
]]>
ইজতেমার তারিখের এই গরমিলের বিষয় সামনে আসে রোববার বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) থেকে পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পর। সংগঠনটি তাবলিগ জামাতের আমির মাওলানা সাদ কান্দলভীর বিরোধী পক্ষকে সমর্থন করছে। বেফাকের মজলিশে শুরার অধিবেশনের পর পাঠানো এই বিজ্ঞপ্তিতে তারা ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা সফল করার আহ্বান জানিয়েছে। অথচ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাদবিরোধীরা ইজতেমার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পেয়েছেন ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি। সাদপন্থীরা এমন ঘোষণাকে বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁদের ইজতেমাও তৃতীয় দিনে গড়াবে বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ ১৭, ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি—এই তিন দিন তাঁরা ইজতেমা করবেন।
এ বিষয়ে সাদবিরোধী মুরুব্বি ও ভিক্টোরিয়া পার্ক জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আমানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিই তাঁরা ইজতেমা করবেন। কিন্তু এই দুদিনকে সফল করার জন্য ১৪ তারিখ থেকে তাঁদের ‘আমল’ শুরু হবে। অন্যান্য বছরও এটা হয়। ১৬ তারিখ সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তাঁরা তাঁদের ইজতেমা শেষ করবেন।
সাদপন্থী শুরা সদস্য ওয়াসিফুল ইসলাম বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের পরও বেফাকের এমন ঘোষণা দুঃখজনক। এটা বিভ্রান্তি ছড়াবে। তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তাঁদের ইজতেমা শেষ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।
]]>
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ‘ডাকাতি’ ও ‘প্রহসনের’ নির্বাচন বলে আসছে বিএনপি। আর এই নির্বাচনের ‘অভিজ্ঞতা’ থেকে এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। গত ২৪ জানুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনে তাঁরা অংশ নেবেন না।
২০১৪ সালে সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি ১৯-দলীয় জোট নিয়ে নির্বাচন করে। যদিও সেবারের ভোট সরাসরি দলীয় প্রতীকে হয়নি। বিএনপির কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের ১৭৬ জন নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে এই জোটের প্রায় ৩০০ জন নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম দুই ধাপেই বিএনপি-জামায়াতের ১১৯ জন নির্বাচিত হন। প্রথম দুই ধাপে বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ে এগিয়ে ছিল। কিন্তু পরবর্তী তিন ধাপে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যায়। অবশ্য বিএনপি বলছে, শেষ তিন ধাপে ক্ষমতাসীনেরা কারচুপি করে জিতেছে।
বিএনপির বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের চিন্তা সবচেয়ে বেশি। তাঁদের অনেকেই ভোট করতে চান। কিন্তু দল থেকে তাঁদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসছে না।
এ বছরের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পাঁচটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ভোট হবে ১১ মার্চ। এবারের নির্বাচনে বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাম জোটও অংশ নিচ্ছে না। ২০১৪ সালে সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচন হয়। ছয়টি ধাপের সে নির্বাচনে শুরুর দিকগুলোর নির্বাচনে বিএনপির অনেক প্রার্থী জয়লাভ করেন। সেই চেয়ারম্যানদের অনেকে এবং বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা বলছেন, উপজেলার ব্যাপারে তারা গণমাধ্যম থেকেই জেনেছেন। দল থেকে সরাসরি কোনো নির্দেশনা পাননি।
]]>
গ্রেপ্তার হওয়া দুই দালাল হলেন উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার হাবিব উল্লাহর ছেলে মহিবুল্লাহ (২০) ও হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়ার আবদুল করিমের ছেলে মো. হুমায়ুন (১৮)।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর ও বাহারছড়ার নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো.আছাদুদ জামান চৌধুরী বলেন, একটি মানব পাচার চক্রের সদস্যরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে কিছু লোকজন সংগ্রহ করে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন। বিজিবি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর ও বাহারছড়ার নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকায় টহল জোরদার করে। পৃথক দুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
]]>
পুলিশ বলছে, নাইম বলেছেন তিনি ওই মায়ের শরীরে অকটেন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
পিবিআই রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার ধামরাই এলাকায় নিজ বাসা থেকে নাইমকে তাঁরা গ্রেপ্তার করেছেন। নাইম স্থানীয় একটি কলেজে সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। নাইম পুলিশকে বলেছেন, ফেসবুকে ওই নারীর (শিশুর মা) সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরেই তিনি এই হামলা করেছেন।
২৯ জানুয়ারি সকালে চার বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন ওই মা। ওই সময় কেউ একজন বোরকা পরে এসে মায়ের ওপর দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যান। দগ্ধ মাকে ওই দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন দুপুরে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এরপর তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়।
]]>
রিও ডি জেনিরোর পশ্চিমে ভারগেম গ্রান্দে অবস্থিত ফ্লামেঙ্গোর স্পোর্টস কমপ্লেক্স। এখানে মূলত একাডেমির খেলোয়াড়েরাই থাকে। ১৪ থেকে ১৭ বছরের কিশোর ফুটবলারদের আবাসস্থল এটা। রিওর পুলিশ বিভাগ জানিয়েছেন, এখানে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তিনজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে । ফায়ার সার্ভিসের কাছে সহযোগিতার জন্য ফোন করা হয়েছিল স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
গ্লোবো টিভির সূত্র জানিয়েছে, নিদো দেল উরুবুর পুরোনো অংশে আগুনের সূত্রপাত। সেখানে ক্লাবের ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সীরাই থাকে। রিয়ালে আসার আগে এই ক্যাটাগরিতে খেলেই সবার নজরে এসেছেন ভিনিসিয়ুস। টুইটারে তাই কিছুক্ষণ আগেই ভিনিসিয়ুস লিখেছেন, ‘কী কষ্টের সংবাদ। সবার জন্য প্রার্থনা করুন। সবাই শত থাকুন, শক্ত থাকুন।’ ভিনিসিয়ুসের আরেক সঙ্গী এসি মিলানের লুকাস পাকুয়েতাও সবাইকে প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
]]>
পাঁচটি দেশেই বিশ্বের অর্ধেক গরিব লোক বাস করে। এই দেশগুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশ। বাকি দেশগুলো হলো ভারত, নাইজেরিয়া, কঙ্গো ও ইথিওপিয়া। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার প্রসপারিটি বা দারিদ্র্য ও সমৃদ্ধির অংশীদার ২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে (পিপিপি) যাঁদের দৈনিক আয় ১ ডলার ৯০ সেন্টের কম, তাঁদের হতদরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটা আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখা হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা বিশ্বে এখন দৈনিক ১ ডলার ৯০ সেন্টের কম আয় করেন এমন দরিদ্র লোকের সংখ্যা ৭৩ কোটি ৬০ লাখ। তাঁরা হতদরিদ্র হিসেবে বিবেচিত। এর মধ্যে উল্লেখিত পাঁচটি দেশেই বাস করে ৩৬ কোটি ৮০ লাখ গরিব লোক। এই হিসাব ২০১৫ সালের ভিত্তিতে তৈরি করা। তখনকার হিসাবে ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি—২৪ শতাংশ গরিব লোক থাকে। এ ছাড়া নাইজেরিয়ায় ১২ শতাংশ, কঙ্গোতে ৭ শতাংশ, ইথিওপিয়ায় ৪ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ৩ শতাংশ গরিব লোকের বাস।
বিশ্বব্যাংক ২০১৮ সালে এসে ওই পাঁচটি দেশে কত গরিব লোক বাস করে, সেই হিসাবও দিয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১ কোটি ৬২ লাখ মানুষের দৈনিক আয় ১ ডলার ৯০ সেন্টের কম। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখা অনুযায়ী, এরা গরিব। এ ছাড়া ভারতে ৯ কোটি ৬৬ লাখ, নাইজেরিয়ায় ৯ কোটি ৯২ লাখ, কঙ্গোয় ৬ কোটি ৭ লাখ এবং ইথিওপিয়ায় ২ কোটি ১৯ লাখ গরিব মানুষ বাস করে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে সারা পৃথিবী থেকে দারিদ্র্য নির্মূল বা জিরো পভার্টির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মানে হলো সারা বিশ্বের দারিদ্র্য হার ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হবে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বিশ্বের অর্ধেক গরিব লোকের বসবাস করা পাঁচটি দেশ গরিবি হটানোর যুদ্ধে কতটা জয়ী হবে, এর একটি প্রক্ষেপণও দেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সালে জিরো পভার্টির যুগেও নাইজেরিয়ায় ৯ কোটি ৫৮ লাখ মানুষ গরিব থাকবে। অর্থাৎ গরিবি হটানোর যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না দেশটি। এরপরের স্থানেই থাকবে কঙ্গো। সেখানে ৭ কোটি ১৫ লাখ গরিব মানুষ থেকে যাবে। এ ছাড়া ইথিওপিয়ায়ও দেড় কোটি গরিব মানুষ বাস করবে। এ ছাড়া ভারতে ৩৫ লাখ এবং বাংলাদেশে ৮ লাখ ৩০ হাজার গরিব মানুষ গরিব থাকবে ২০৩০ সালে।
]]>
এর পোশাকি নাম ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’, উদ্যোক্তা চীন। সি চিন পিংয়ের দেশ বলছে, এটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনীতি ও যোগাযোগব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হবে। তবে শুরুর পাঁচ বছর পর এসে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি উন্নয়নের পথ, নাকি ঋণের ফাঁদ? চীন এই প্রকল্প দিয়ে অন্যান্য দেশগুলোর উপকার করতে চাইছে, নাকি গলায় পরাতে চাইছে ফাঁস? নিন্দুকেরা বলছেন, ঋণের ফাঁদে ফেলে সংশ্লিষ্ট এলাকার আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে চীন।
Eprothom Aloবেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন করতে আদতে কত খরচ হচ্ছে? গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, ব্যয় হতে পারে এক লাখ কোটি ডলার। এরই মধ্যে ২১ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করে ফেলেছে চীন, যার সিংহভাগই হয়েছে এশিয়ায়। আর এই প্রকল্পের কাজগুলো একচেটিয়াভাবে করছে চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোই। ফলে, নানা দেশের সঙ্গে করা চুক্তির ফলে লাভবান হচ্ছে চীন।
]]>
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, মিয়ানমারের ভয়ংকর এসব সংগঠন তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যাতে মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে তারা এসব গ্রুপ বন্ধ করে দিচ্ছে।
ফেসবুকের এক বিবৃতিতে বলা হয়: ‘অফলাইনে ক্ষতির বিষয়টি প্রতিরোধ করতে কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিকে আমরা সুযোগ দেব না, যাতে তারা সহিংস মিশন চালাতে পারে বা সহিংসতায় জড়াতে পারে। তাদের কোনো ফেসবুকে উপস্থিতি থাকবে না। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে বেসামরিক মানুষের প্রতি আক্রমণ ও মিয়ানমারে সহিংসতা ছড়ানোর স্পষ্ট প্রমাণ আছে। আমরা তাদের আমাদের সেবা ব্যবহার করে সেখানে উদ্বেগ তৈরি ঠেকাতে চাই।’
]]>
গতকালের মতো আজও রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন জোলি। পরে কুতুপালংয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। ইউএনএইচসিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জোলির বক্তব৵ তুলে ধরা হয়েছে।
জোলি বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হয়। এখনো বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আসা অব্যাহত আছে।
জোলি বলেন, ‘আজ কক্সবাজারে যেখানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়শিবিরটি। এখানে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় হয়েছে।’ তিনি বলেন, সব শরণার্থীই দুর্দশাগ্রস্ত। তবে রোহিঙ্গারা শুধু গৃহহারা নয়, তারা দেশহারা।
বিভিন্ন মানবিক তৎপরতায় জোলি বলেন, রোহিঙ্গাদের যে দেশে জন্ম, সেই দেশের নাগরিকত্ব তারা পায়নি। এটি সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাদের রোহিঙ্গা নামে ডাকাও হয় না।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, দেশে ফেরার পূর্ণ অধিকার আছে রোহিঙ্গাদের। তবে তখনই তারা দেশে ফিরবে, যখন তারা মনে করবে সেখানে তাদের যথেষ্ট নিরাপত্তা আছে। আর ফিরে যাওয়ার পর তাদের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো হবে, সেই নিশ্চয়তাও পেতে হবে।
জোলি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের পর তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘গতকাল এক নারীর সঙ্গে কথা হলো। তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মিয়ানমারে। তিনি আমাকে বললেন, “আমার নিরাপদ ব্যবস্থা না করে যদি ফেরত পাঠাতে চান, এর আগে আমাকে এখানেই মেরে ফেলুন।”’
]]>