Warning: Use of undefined constant jquery - assumed 'jquery' (this will throw an Error in a future version of PHP) in /home/raytahost/public_html/demo/news11/wp-content/themes/NewsSunflower/functions.php on line 27

আজ ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছেলেদের চুল পড়ার চিকিৎসা (ভিডিও)

চুল পড়া নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে থাকেন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে চুল পড়া প্রতিরোধ করা যায়। এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিনের ২৩৭৪তম পর্বে চুল পড়া বিষয়ে কথা বলেন অরোরা স্কিন অ্যান্ড এনস্টেটিকস সেন্টারের চর্মরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. রেজা বিন জায়েদ।

প্রশ্ন : ছেলেদের চুল পড়ার সমস্যা হলে কী করতে হবে?

উত্তর : টাক হলে ছেলেরা অনেক সতর্ক হয়ে যায়। এটা আসলে কাম্য নয়। যেভাবে হোক এই টাকের প্রতিকার করতে চেষ্টা করে। ভালো বিষয় হলো, এসব টাকের জন্য যদি কেউ প্রথম থেকেই এসে চিকিৎসা করে, তাহলে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এতে অনেক ক্ষেত্রে টাক পড়া প্রতিরোধ করা যায়। টাক পড়বেই না এ রকম অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যায়।

মূল ওষুধ যেটা ব্যবহার করা হয়, এর মধ্যে অ্যান্টি হরমোন অ্যাকটিভ আছে। আর কিছু ওষুধ দেওয়া হয় লাগানোর জন্য। চুলের গোড়ায় রক্তের প্রবাহ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। আবার কিছু রয়েছে থেরাপি পর্যায়ে, প্রোটিন সমৃদ্ধ থেরাপি। এই প্রোটিন সমৃদ্ধ প্লাজমা দিয়েও চুলের টাক পড়া প্রতিরোধ করা যায়। নানা রকমের চিকিৎসা আছে। সবচেয়ে বড় কথা, যত তাড়াতাড়ি আসবে তত ভালো হবে।

আমরা চিকিৎসা করতে আগ্রহী নই যদি বয়স চল্লিশ পেরিয়ে যায়। তাহলে আর চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ থাকে না বা অতটা ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না চিকিৎসা করে। সবচেয়ে ভালো হয় ৩০ থেকে পঁয়ত্রিশের ভেতর যদি চিকিৎসা করা যায়। তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। টাক প্রতিকার তো করাই যায়, নতুন চুলও আসে এবং আগের মতো অবস্থা হয়ে যায়। সুতরাং যখনই চুল পড়া আরম্ভ হবে, বেশি দেরি করা যাবে না। এমন যদি হয়, যেমনটা আমি বলছিলাম, দুই পাশ থেকে পড়ে যায়, হালকা পাতলা হয়ে যায়, সামনে আস্তে আস্তে খেয়ে খেয়ে পেছনের দিকে চলে যায়। সেই ক্ষেত্রে যত দ্রুত চিকিৎসা করবে, তত ভালো।

তবে হরমোনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা কোনো অবস্থাতে হরমোনের চিকিৎসা ২০ বছরের আগে করতে চাই না। কারণ ২০ বছর পর্যন্ত মানুষের শরীরে হরমোনের নিজস্ব বৃদ্ধি হতে থাকে। ২০ বছরের পর সেটা আর থাকে না। সুতরাং হরমোন দিয়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা ২০ বছরের আগে আগ্রহী হই না। তবে লাগানোর যে ওষুধটা মিনোক্সিডিল, এটি আমরা যেকোনো বয়সেই দিতে পারি। এর মূল কাজ হচ্ছে চুলের নিচে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়ে চুলের পুষ্টিকে নিশ্চিত করা। হরমোন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। আর যেটা বলছিলাম পিআরপি- যখন আমরা দেখি, ওষুধ দিয়ে ফলাফল হচ্ছে না, তখন একে সহযোগী হিসেবে দিয়ে থাকি।

প্রশ্ন : এসব চিকিৎসায় খরচের বিষয়টি কেমন?

উত্তর : খরচ একেবারেই কম। হরমোন ও মিনক্সিডিল- এগুলোর খরচ নাগালের ভেতরেই থাকে। পিআরপি একটি ইনজেকশন। মাসে একটি করে দিতে হয়। এর ক্ষেত্রে খরচ নাগালের বাইরে বলব না। তবে একটা খরচ আছে। সেটা ক্ষেত্র থেকে ক্ষেত্রে নির্ভর করে। খরচ নাগালের বাইরে তা নয়। তবে অনেক দিন ধরে চিকিৎসা করতে হয়। সাধারণত যিনি চিকিৎসা নেন, তিনি ছয় মাসের মধ্যে বুঝতে পারেন ফলাফল ভালো।

Share

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ