Warning: Creating default object from empty value in /home/raytahost/public_html/demo/news15/wp-content/themes/newsstar/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
জাতিসংঘে প্রথমবার পালন শোক দিবস,বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বের স্মরণ। জাতিসংঘে প্রথমবার পালন শোক দিবস,বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বের স্মরণ। – My Blog
Warning: Use of undefined constant jquery - assumed 'jquery' (this will throw an Error in a future version of PHP) in /home/raytahost/public_html/demo/news15/wp-content/themes/newsstar/functions.php on line 28

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
সাংবাদিক ইমরান মাসুদের জম্মদিন আজ মুজিববর্ষে অভিষেক হল শ্রীপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের “শুদ্ধ সাংবাদিকতার চর্চা করতে হবে”- শ্রীপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এমপি সবুজ। সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় থাকবে ইভিএম আমাদের সেনাবাহিনী থাকবে সবসময় যুগোপযোগী ও আধুনিক : প্রধানমন্ত্রী ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগে শেখ সেলিমের ছোট ভাইকে দুদকে তলব অবশেষে বেরিয়ে আসল হাতিরঝিলের ভাইরাল হওয়া ‘মানব কুকুরের’ রহস্য! ধামরাই এ আলোকিত যাদবপুরের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত। ঈশ্বরদীতে মাদক বিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ও গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান। নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
জাতিসংঘে প্রথমবার পালন শোক দিবস,বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বের স্মরণ।

জাতিসংঘে প্রথমবার পালন শোক দিবস,বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বের স্মরণ।

অনলাইন ডেস্ক:জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ মিশন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এই আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা। আলোচনায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব, সাহসী নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার স্মৃতিচারণ করেন। জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত শোক দিবসের মূল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। এসময় দেশি-বিদেশি অতিথিরা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। রাষ্ট্রদূত মাসুদ তার বক্তব্যে জনগণের ক্ষমতায়ন, মানবাধিকারের সুরক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি, গণতন্ত্র, শান্তি ও সহবস্থানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী বছর বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি। সে উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দফতরে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি ২০২১ সালে উদযাপন করা হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী।’ এসকল অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীর উদ্বৃত্ত করে বলেন, ‘ঘাতক-চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। আসুন, আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করি।’ আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী। তিনি তার ভাষণে বঙ্গবন্ধুকে ‘ফ্রেন্ড অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ বা ‘বিশ্ব বন্ধু’ উপাধিতে আখ্যা দেন। রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রদর্শিত পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ ধারণ করেই বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক-তাবাদের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে বিশ্বসভায় ভূমিকা রেখে চলেছে। এছাড়া, ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গভীর বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, ‘১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন ভারতবাসী তাদের অকৃত্রিম বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা জানতে পারে তখন ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে রূপ নেয়।’ বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শই আজ জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘এটি সম্ভব হয়েছে কারণ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’ সার্বিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি মিলান মিলানোভিচ্ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভিকা দাচিচ এর বাণী পড়ে শোনান। এই বাণীতে সার্বিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাবেক যুগোশ্লোভিয়ার রাষ্ট্রনায়ক জোসেফ ব্রোজো টিটোর যে বন্ধুত্ব ও গভীর সম্পর্ক তা তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ‘বাংলার মানুষের প্রতি ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি, আর আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতাও এটা যে আমি তাদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসি’ উল্লেখ করেন। কিউবার রাষ্ট্রদূত আনা সিলভিয়া রদ্রিগেজ আবাসকাল তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কিউবার দেওয়া অকুণ্ঠ কূটনৈতিক সমর্থনের কথা তুলে ধরেন। নির্যাতিতের পক্ষে ও মানবাধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাধারণ নেতৃত্ব, প্রচেষ্টা ও সাহসের কথা বলতে গিয়ে তিনি ১৯৭৩ সালে কিউবার মহান নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সেই বিখ্যাত কথা ‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি, তাই হিমালয় দেখার সাধ আর আমার নেই’ উল্লেখ করেন। প্যালেস্টাইনের স্থায়ী প্রতিনিধি রিয়াদ এইচ মনসুর ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গভীর ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আজ ৪৪ বছর পর এই জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে যা এই বিশ্বনেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি অনন্য উদ্যোগ।’ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান মুজিব শতবর্ষ উদযাপনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ সকলকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বক্তারা বঙ্গবন্ধুকে সেই সময়ের বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা এবং বিশ্ব মানবতার মুক্তির প্রতিভূ ও বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বক্তাগণ আরও বলেন বিশ্বের বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতার সংগ্রাম ও ত্যাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে। এছাড়া, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। জাতিসংঘে কনফারেন্স রুম-৪ (চার) এ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন অন্যান্য কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারার মানবাধিকার কর্মী, লেখক, চলচিত্র শিল্পী, টিভি উপস্থাপক, ফটোগ্রাফার এবং প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনেরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2019 Raytahost.Com
Design by RaytaHost