শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন

ডিমলায় গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ জুন, ২০১৮, ৩.৪১ অপরাহ্ণ
  • ৭ বার

মোঃ শাহিনুর রহমান:

গত রাত ১ জুন ভোরে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের পুত্র মোঃ রেজাউল করিম (২৫) এর স্ত্রী গৃহবধুঁ তাছমিনা বেগম (২২)’র রহস্য জনক মৃর্ত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। এলাকায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। সরজমিনে এলাকাবাসীরা জানান, রেজাউলের বাবা বেশ কয়েক বছর পূর্বে মারা যায়। তাছমিনার ৪ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে এবং তাছমিনা বেগম আবারো ৮/৯ মাসের অন্তসত্তা। প্রতিদিনের ন্যায় রেজাউল তার স্ত্রী কে বাড়ীতে রেখে নাউতরা তৃপ্তী বেকারী কারখানায় কায়িক শ্রমিকের কাজ করে। কারখানার মালিক রফিকুল ইসলামের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজাউল শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে বাড়িতে চলে যায়। এ বষিয়ে রেজাউলের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের জানায় ভোর ৩ টার দিকে আমি বাড়িতে আসিলে ঘরে ঢুকিতেই দেখি আমার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়াছে।
অপরদিকে তাছমিনার বাবা তছির উদ্দীন জানায় আমার বেহানী ও জামাই দুজনেই আমার মেয়েকে হত্যা করে। দীর্ঘদিন যাবত তাছমিনা বেগমের স্বামী ও শাশুরীর সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকে। তাছমিনা বেগমের সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লাগতো শাশুড়ী রেজিয়া বেগমের। এরকম দীর্ঘদিন থেকে বউ-শাশুড়ী পারিবারিক ভাবে অশান্তিতে রয়েছে। এরই মধ্যে ঘটনার দিন শুক্রবার বিকালে তুচ্ছ ঘটনায় বউ- শাশুড়ী ও স্বামীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। পরে গলায় চিকন প্লাস্টিকের রশি পেঁচানো অবস্থায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। কিন্তু তাছমিনা বেগমের এ আত্মহত্যার ঘটনাটি এলাকাবাসী ও তার বাবা ও মামারা রহস্যজনক মৃর্ত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই শাশুড়ী রেজিয়া বেগম ও তাছমিনা বেগমের স্বামী রেজাউল করিম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাহাদের আটক করে রেখে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন এবং পরে ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় ডিমলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) সোহেল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাউতারা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম লেলিন সহ স্থানীয় এলাকাবাসী। তাছমিনা বেগম এর আত্মহত্যার ঘটনাটি রহস্যজনক হওয়ায় পুলিশ স্বামী ও শাশুড়ীকে সহ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ডিমলা থানায় নিয়ে আসেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Footer Widget

Footer Widget

© 2019, All rights reserved.
Design by Raytahost.com
error: Content is protected !!