ঢাকা, ১৯শে মে, ২০২৪ ইং

শনিবার শাহজালালে থার্ড টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী

বার্তা

বিভাগ

প্রকাশিত: 4:24 PM, December 25, 2019

মহানগর বার্তা,ঢাকাঃ প্রতীক্ষার পর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। ২৮ ডিসেম্বর (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দক্ষিণাংশে ভিভিআইপি টার্মিনালের সামনে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। নানা জটিলতা শেষে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে ৩০ লাখ বর্গফুট এলাকা প্রস্তুত করা হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য করার সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এক মাস ধরেই চলছে প্রস্তুতি। প্রস্তুতির কোথাও কোনো কমতি নেই। বিশ্বমানের বিমানবন্দর তৈরি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোরিয়ার শীর্ষ কোম্পানি স্যামসাং ও জাপানের সুমিজির সমন্বয়ে গড়ে তোলা ঢাকা এভিয়েশন কনসোর্টিয়ামের একাধিক টিম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করছে।

মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে সমন্বিতভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন প্রায় শেষের দিকে। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছে সুসজ্জিত অত্যাধুনিক একটি প্যান্ডেল। এর পাশে থাকবে থার্ড টার্মিনালের সুবিশাল লোগো ও প্রতিকৃতি। শুধু বিমানবন্দর নয়, মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাজপথের দুপাশে শোভা পাচ্ছে থার্ড টার্মিনালের আলোকসজ্জিত নকশা। বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে শোভিত থাকবে বিশালাকৃতির টার্মিনালের নকশা।

এ বিষয়ে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, থার্ড টার্মিনাল প্রকল্প ৪৮ মাসের মধ্যে সমাপ্ত করা হবে। কারণ দেশের প্রধান কেপিআই বিবেচনা করেই টার্মিনাল নির্মাণের শেষ করার তাগিদ থাকবে।

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, থার্ড টার্মিনাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। এর নির্মাণ উপকরণের মান সর্বোত্তম রাখতে আমরা সচেষ্ট ছিলাম এবং আছি।

তিনি আরও জানান, শুধু থার্ড টার্মিনাল দিয়েই বছরে কমপক্ষে ১২ মিলিয়ন যাত্রীর সেবা দেয়া সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বর্তমান টার্মিনালের ৮ মিলিয়ন যোগ হলে বছরে সেবা দেয়া যাবে ২০ মিলিয়ন যাত্রীর।

গত ১০ ডিসেম্বর একনেক বৈঠকে সংশোধনী ও থার্ড টার্মিনালের ব্যয় বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়। মূল প্রকল্পে ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। প্রথম সংশোধনীর পর প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারিত হয় ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। মোট খরচের মধ্যে সরকার দেবে ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার এবং ঋণ হিসেবে জাপানের জাইকা দেবে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

  • এই বিভাগের সর্বশেষ