ঢাকা, ৯ই মে, ২০২৪ ইং

ঢাকায় মোদির সফরে লাভ-ক্ষতি নিয়ে সংশয়ে শেখ হাসিনা

বার্তা

বিভাগ

প্রকাশিত: 11:02 AM, December 27, 2019

মহানগর বার্তা,ঢাকাঃ এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপ এবং দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সংসদে বক্তৃতার পর যথেষ্ট বিড়ম্বনায় রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। একদিকে শেখ হাসিনা জমানার সঙ্গে মোদি সরকারের সম্পর্কের বহু বিজ্ঞাপিত ‘সোনালি অধ্যায়’-কে সামনে এনে তাদের বিঁধছে বিরোধী দল বিএনপি। অন্যদিকে গোটা দেশে তৈরি হওয়া ভারতবিরোধিতা ক্রমশ আওয়ামী লীগ বিরোধিতায় পরিণত হচ্ছে। আর বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ চাপে আছেন শেখ হাসিনা।

ঢাকা সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব কথা তুলে ধরেছে কলকাতাভিত্তিক গণমাধ্যম আনন্দবাজার।

আওয়ামী লীগ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মার্চে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম শতবর্ষ বার্ষিকী পালনের উৎসবে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য উপস্থিতি ঘরোয়া রাজনীতিতে শেখ হাসিনাকে কতটা সুবিধা দেবে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি এসে মোদিকে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে গেছেন। তা স্বীকার করে মোদিও জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগ্রহী।

বাংলাদেশের বিদায়ী হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর সঙ্গে মোদি দেখা করার পর বাংলাদেশের পক্ষে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আমন্ত্রণ করার জন্য নরেন্দ্র মোদি আনন্দ প্রকাশ করছেন।’

ঘটনা হলো, মোদির এই সফরটিকে সামনে রেখে এবং শেখ মুজিবের শতবর্য উদযাপনে ভারতের বেশ কিছু যৌথ উদ্যোগকে তুলে ধরে ভারতের পক্ষ থেকে শীতলতা কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রক্রিয়া আরো গতি পেতে দেখা যাবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অনুষ্ঠানে মোদিকে মধ্যমণি করাটা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই ঢাকা সূত্রের খবর। এমন প্রশ্নও দলের মধ্যে উঠতে শুরু করেছে যে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মোদি বা তার দলের যেহেতু সম্পর্কই ছিল না, তাই তার উপস্থিতি বাড়তি বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে।

গত সপ্তাহেই বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি তিন পাতার বিবৃতি দিয়ে তীব্র নিন্দা করেছেন ভারত সরকারের নয়া নাগরিকত্ব আইন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যের। বলা হয়েছে বাংলাদেশকে যেভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে একই বন্ধনীতে রাখা হয়েছে তা ‘অপব্যাখ্যামূলক, অসত্য, বিভ্রান্তিকর’। এই নাগরিকত্ব নীতিকে বৈষম্যমূলক বলে বিএনপি বলেছে, বাংলাদেশে এর ফলে রোহিঙ্গার পরে আবার নতুন করে শরণার্থী সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সোনালি অধ্যায়’ প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষও করা হয়েছে।

  • এই বিভাগের সর্বশেষ