একদিন আগেই ইসরায়েলে পৌঁছাবে মেসির আর্জেন্টিনা

খেলা

একদিকে গাজা উপত্যকায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে গুলি করে, বোমা মেরে হত্যা করছে, অন্যদিকে লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করছে ইসরায়েলিরা। সারা বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের সব অনুরোধ উপেক্ষা করে ইসরায়েলে গিয়ে বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। ৯ জুন, জেরুজালেমে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা মেসির দেশ আর্জেন্টিনার। যার একটি ইতোমধ্যে খেলে ফেলেছে তারা। হাইতির বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন মেসি। আর্জেন্টিনা জিতেছে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে।

দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটি তারা খেলবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। জেরুজালেমে ওই ম্যাচটি খেলেই রাশিয়ার উদ্দেশ্যে বিমানে উঠবে মেসি-সাম্পাওলিরা। জেরুজালেমের টেড্ডি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

মূলতঃ মেসিদের জেরুজালেমে আসার সূচি ছিল ৮ জুন। ওইদিন তারা এসে বিশ্রাম নেয়ার কথা এবং পরদিন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামার কথা; কিন্তু সূচিতে পরিবর্তন এনে আর্জেন্টিনা জেরুজালেমে এসে পৌঁছাবে একদিন আগে, অর্থ্যাৎ ৭ জুন। ৮ জুন তারা জেরুজালেমে অবস্থান করবে। সকালে ট্রেনিং করবে। ট্রেনিংয়ের পর অংশ নেবে সংবাদ সম্মেলনে এবং সর্বশেষ বিকালে তারা ইহুদীদের কয়েকটি পবিত্র স্থান পরিদর্শনে যাবে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমের দেয়াল এবং চার্চ অব হলি সেপালচার।

ইসরায়েল যখন তেলআবিবের পরিবর্তে জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে ওঠে সারা বিশ্ব। ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমকে কোনোভাবেই ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মেনে নিতে পারে না। যে কারণে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। সেই বিক্ষোভে গুলি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে ইসরায়েলি হায়েনারা।

বিশ্বের শান্তিকামি মানুষ ইসারায়েলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু সন্ত্রাসী এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া হিসেবে পরিচিত ইসরায়েল জেরুজালেমে তাদের রাজধানী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসেনি। এমনকি ইসরায়েলের সন্ত্রাসী সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাদের দুতাবাস সরিয়ে এনেছে জেরুজালেমে।

বৈশ্বিক সমর্থন বলতে ইসরায়েল পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুতাবাস সরিয়ে আনাকেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের জেরুজালেমে এসে ফুটবল ম্যাচ খেলাও ইসরায়েলের প্রতি নীরব সমর্থন। খেলা দিয়েই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করে নিচ্ছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলিরা। আর তাতে নীরব সমর্থন জানাচ্ছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *