বীরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

গ্রাম বাংলা রংপুর

মোঃ আবেদ আলী ॥

বীরগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজ ছাত্রী প্রেমিকার অনশন চলছে, প্রেমিক বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা সদর বাবু পাড়ার বাসিন্দা চিন্তা হরেনের মেয়ে গড়েয়া ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী পার্বতী রায় (১৮) জানান, বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়ের ডাক্তারপাড়া গ্রামের গজেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে প্রমোথ চন্দ্র রায়ের (২২)’র সাথে ২ বছর আগে তার বোন লতা রানীর বাড়িতে শশুরবাড়ী বাবু পাড়ায় প্রথম পরিচয়ে উভয়ের মধ্যে ভাললাগা ও ভালবাসা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক হয়। তারা উভয়ে বিয়ে করে সংসার করতে চায় কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তা মানতে নারাজ।

পরিশেষে পার্বতী রায়ের প্রচন্ড আপত্তি থাকা সত্বেও তার মতামত উপেক্ষা করে পরিবার অন্যত্র তার বিবাহ ঠিকঠাক করে। সংবাদ পেয়ে প্রমোথ চন্দ্র রায় মোবাইলে জানায় ২ বছর ধরে প্রেম করে তোমাকে না পেলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ থাকবে না। বিবাহের দিনক্ষ আসার আগেই তুমি আমার বাড়ীতে চলে আসো। নিরুপায় প্রেমিকা গত ৩০ মে দুপুরে হাজির হয় প্রেমিক প্রমোথ রায়ের বাড়ীতে। প্রমোথ রায়ের ভগ্নিপতি দুলাল চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে পরিবারের সদস্যরা পাবর্তীকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়।

পার্বতী রায় আরো জানান, কালি মন্দিরে গিয়ে তারা ভগবানকে স্বাক্ষী রেখে বিবাহ করে উভয়ের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। প্রমোথ চন্দ্র রায়কে স্বামী হিসেবে না পেলে তার আত্মহত্যা ছাড়া আর অন্য কোন পথ থাকবে না। যতোদিন স্বামী হিসেবে প্রমোথকে না পাবে ততোদিন কোনো খাবার খাবেন না ও পানি পান করবেন না এবং জীবিত অস্থায় সে কোথাও যাবেননা। তিনি বলেন, ‘যেতেই যদি হয় তবে আমার লাশ নিয়ে যেতে হবে। কারন প্রমোথ চন্দ্র রায় আমার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।’

পলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েলুর রহমান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওয়ার্ড সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন প্রেম সত্য উভয়ের মতামতের ভিত্তিতে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার বৈঠক চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *