‘নির্বাচনের আগেই কাঁদতে চাই, যেন নির্বাচনের পরে সবাই হাসিমুখে থাকতে পারি।’ – জাহাঙ্গীর

0
1

দলের নেতা-কর্মীদের সামনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম কেঁদে ফেললেন। বললেন, ‘নির্বাচনের আগেই কাঁদতে চাই, যেন নির্বাচনের পরে সবাই হাসিমুখে থাকতে পারি।’

মেয়র প্রার্থীর এই বক্তৃতায় নেতা-কর্মীরাও তাঁদের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। ছলছল চোখে সমর্থন দিয়েছেন তাঁর প্রতি।

গতকাল শনিবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় গণপূর্ত উপবিভাগের কার্যালয়ে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ যৌথ সভার আয়োজন করে।

দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নেতা-কর্মীদের বলেন, ‘আমি আপনাদের ভাই, আমাকে কেউ ভুল বুঝবেন না। আপনাদের হাতে-পায়ে ধরে বলছি, নৌকার জন্য ভোট চান। রাস্তায় রাস্তায় না ঘুরে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যান। মান-অভিমান ভুলে সবাই একসঙ্গে কাজ করেন।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর-১ আসনের সাংসদ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন, বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ কবীর, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশরাফ সিকদার প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। তবে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান উপস্থিত ছিলেন না। তিনিও এবার মেয়র পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন আলাদা। বিএনপি বলেছে, তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমাদের হলুদ কার্ড ও জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে লাল কার্ড দেখাবে। আসলে ওনারাই তো লাল কার্ড খেয়ে মাঠ থেকে বিতাড়িত হয়ে গেছেন।’ তিনি বলেন, গাজীপুর আওয়ামী লীগের দুর্জয় ঘাঁটি। এই দুর্জয় ঘাঁটি আছে, থাকবে।

সভায় আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, ৫৭টি ওয়ার্ডের জন্য ১১৬টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতি কমিটি ১০ সদস্যের। সভায় মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগকে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। সভায় অনেকে অভিযোগ করেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারকাজের চেয়ে কর্মীদের মধ্যে সেলফি তোলা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ বেশি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here