গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ঘুমন্ত এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে (৭) যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসা ও মসজিদ ভাংচুর করেছে উত্তেজিত জনতা।
রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকা কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া ও কওমী মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনা আঁচ করতে পেরে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত মাদ্রসার পরিচালক মাওলানা নুরুল হক। তিনি কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে।
স্থানয়ীরা জানান, গত ২ বছর ধরে নিজ জমিতে মাদ্রাসাটি স্থাপন করে নিজেই পরিচালনা করছেন মাওলানা নুরুল হক। গত শুক্রবার রাতে মাদ্রাসার হল থেকে ঘুমন্ত এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন তিনি। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজের বাড়ি ফিরে যায়।
শিক্ষার্থীর বাবা-মা শারীরিক সমস্যা টের পেয়ে জিজ্ঞেস করলে বিষয়টি খুলে বলে সে। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন তারা। খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী আজ সকালে মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন।
ঘটনার পর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে মাওলানা নুরুল হকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (মাওনা ফাঁড়ি) রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মাওলানা নুরুল হকের বিরুদ্ধে আগেও শিক্ষার্থীদের যৌণ নিপীড়ন করার অভিযোগ ছিল। পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে, শিগগিরই তাকে আটক করা হবে।