সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে লাশ হলেন তিনি

প্রকাশিত: ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯

লক্ষ্মীপুরে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নিজেই মারা গেছেন বাবুল হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তি। পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ৬ জনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।

রোববার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব বিজয়নগর এলাকাল এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল গাছের ব্যবসা করতেন। তিনি ওই এলাকার মৃত শহিদ উল্ল্যার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের নাপিতবাড়ির এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয় পার্শ্ববর্তী এলাকার মৎস্য চাষী শহীদ। এতে রাজি না হওয়ায় ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীর ভাগিনাকে জড়িয়ে কুৎসা রটায় সে (শহীদ)। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন গৃহবধূর স্বামী। কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে নিয়ে শহীদকে মারধর করেন তিনি। এ সময় বাবুল হোসেন বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও প্রচণ্ড মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে বাবুল হোসেনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ওই গৃবধূর স্বামী সোহেলসহ ৬ সন্ত্রাসীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, বিজয়নগর গ্রামে দু’পক্ষের বিবাদে একজন নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।