নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ১২০ বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার কলেজের জামতলায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, ‘পূর্বাঞ্চলীয় অন্ধকার যুগের শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ছিল ভিক্টোরিয়া কলেজ। পাকিস্তান সৃষ্টির পর এ কলেজের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা চালানো হয়। ভিক্টোরিয়া শব্দটি ছেটে ফেলে দেওয়ার চিন্তা করা হয়। শেষ পর্যন্ত তা আর হালে পানি পায়নি।’
বর্তমানে কলেজটি দুটি অংশে বিভক্ত। কান্দিরপার রানীদীঘির পাড়ে কলেজের ইন্টারমিডিয়েট শাখা এবং ধর্মপুরে অনার্স শাখা অবস্থিত। প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় কলেজটি মুখরিত হয় প্রতিদিন। ২২টি বিষয়ে অনার্স ও ১৯টি বিষয়ে মাস্টার্স পড়ানো হয় এখানে। এ কলেজে রয়েছে ১২টি সক্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন। সংগঠনগুলো শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রাখছে। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে কলেজটির ভূমিকা ছিল অনন্য। উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ শচীন দেববর্মন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু,অদ্বৈত মল্লবর্মন, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, অধ্যাপক রফিকুল ইসলামমের অসংখ্য খ্যাতনামা ব্যক্তিরা এ প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ঐতিহাসিক বিষয়ের প্রামাণ্য চিত্র,হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়।